দীর্ঘসময় ধরে হেডফোন-এ গান শোনার অভ্যেসকে এবার চিরতরে বিদায় জানান, নইলে বিপদ নিশ্চিত
দীর্ঘ সময় ধরে হেডফোন ব্যাবহার করলে কানে হাওয়া ঢুকতে পারেনা, এরফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয় কান

পল্লবী কুন্ডু : আমাদের অসময়ের বন্ধু হলো গান। বিশেষ করে অবসরের সঙ্গী। আর এখন তো কাজে মন বসাতে গেলেও প্রয়োজন হয়ে পরে মিউজিকের।হ্যাঁ, অবশ্যই গান আমাদের সতেজ থাকতে সাহায্য করে। কিন্তু এই গান শোনার মাধ্যমটা সঠিক তো ? আপনি কি হেডফোন(Headphone) ব্যবহার করেই গান শুনতে পছন্দ করেন ? তবে যে বিপদ এড়ানো মুশকিল !
আমরা প্রায় প্রত্যেকেই গান শোনা অথবা ভিডিও দেখার সময় হেডফোন ব্যবহার করে থাকি। এমন মানুষও রয়েছেন যারা হেডফোন ছাড়া একেবারে অচল।কিন্তু এই অভ্যাস আপনার অজান্তেই আপনার অনেক ক্ষতি করে দিচ্ছে। যা আপনি টেরও পাচ্ছেন না।দীর্ঘ সময় ধরে হেডফোন ব্যাবহার করলে কানে হাওয়া ঢুকতে পারেনা। এরফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয় কান।দীর্ঘ সময় ধরে হেডফোন ব্যাবহার করলে কানে ব্যথা অনুভূত হয়।
বৈজ্ঞানিক গবেষণায় যা দেখা যাচ্ছে তাতে, বেশি সাউন্ড দিয়ে হেডফোনে গান শুনলে কিছুক্ষন কানে শোনা যায়না। ১০০ ডেসিবেলের উপরে ১৫ মিনিট ধরে গান শুনলে চিরতরে বধির হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও জোরালো। পাশাপাশি হেডফোন অতিরিক্ত ব্যাবহার করে আপনি আপনার মস্তিষ্কের ক্ষতিও ডেকে আনছেন। ব্লুটুথ হেডফোনে ক্ষতি হওয়ার পরিমান বেশি, কারন ব্লুটুথ হেডফোন থেকে হেডফোনস ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক তরঙ্গ সৃষ্টি হয় সেটি মস্তিষ্কের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
তাই এবার থেকে গান অবশ্যই শুনুন কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমানে। মনে রাখবেন হাই ভলিউমে কখনই হেডফোন ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে গুরুতর সমস্যায় পড়তে পারেন আপনি-ই।