যুদ্ধ বিধস্ত পরিস্থিতিতে নিজের দোসর পোষ্য, কাঁধ ছাড়া নয় একদমই
বোমার তীব্র শব্দ শুনে গৌতমের বুকেই মুখ লুকিয়েছে বিড়ালটি

তিয়াসা মিত্র : আগুন পরিবেশ, রক্ত, বারুদের গন্ধ, অনিশ্চিত জীবন ! পড়ুয়াদের মধ্যে ভয়ে ভীতি দেখা যাচ্ছে ইউক্রেন-এ। ডাক্তারি পড়ার কারোর হয়েছে এক বছর কারোর চার বছর আবার কারণ পাঁচ বছর হতে মাত্র কয়েক মাস। এই বছর গুলোতে নিজেদেরকে একাকী না রেখে অনেকেই দত্তক নিয়েছিল পোষ্য। তাদের কথা ভুলে চলবে কেন ?
নিজে দেশে ফেরার সময়ে পড়ুয়ারা হন্তদন্ত হয়ে নিজেদের জরুরি জিনিসের মধ্যে ভুলে যাননি তাদের প্রিয় ছোট্ট ছোট্ট বন্ধুদের। যারা তাদেরকে সেই দেশে একা জীবন যাপন করতে দেয়নি। এমনি বহু চিত্র এই দশ দিনে আমাদের সামনে উঠে এসেছে। বাঙ্কারে একটি মাত্র লোকের থাকার জায়গা হলেও সেই জায়গাতে পোষ্যকেও স্থান দিয়েছে অনেক মানুষ।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে পোষ্যকে নিয়ে দেশে ফেরার নাছোড় মনোভাবের জন্য প্রথম খবরের শিরোনামে আসেন দেহরাদূনের বাসিন্দা ঋষভ কৌশিক। ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়তে গিয়েছিলেন তিনি। উদ্ধারকারী বিমানে ওঠার ছাড়পত্র পেলেও তাঁর পোষ্য মালিবু (পোষ্যের নাম) পায়নি। ফলে তিনি বিমান ধরতে পারেননি ঋষভ। পরে অবশ্য তিনি পোষ্যকে নিয়েই বিমানে দেশে ফিরেছেন। কেরলের বাসিন্দা আর্য অলড্রিন তাঁর পোষ্য কুকুর সাইরাকে নিয়ে ৬০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে রোমানিয়া পৌঁছেছেন। সাইরাকে নেওয়ার জন্য নিজের পোশাক ভর্তি একটি ব্যাগ ছেড়ে এসেছেন।
ডাক্তারি পড়ুয়া গৌতমের সঙ্গে একটি বিড়াল চারমাস ধরে ছিল। কিভ ছাড়ার সময় তাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন তিনি। দু’জনে একসঙ্গে বাঙ্কারে রাত কাটিয়েছেন। বোমার তীব্র শব্দ শুনে গৌতমের বুকেই মুখ লুকিয়েছে বিড়ালটি। তাকে কোলে করেই পোলান্ড সীমান্তে পৌঁছেছেন গৌতম। পৃথিবীর এই দুর্দিনে নিজের খাবার থেকেও ভাগ দিয়েছে তাদের দোসরকে।