কাল থেকে নতুন পর্যায়ের লকডাউন, করোনা সচেতনতাতেও আনুন নয়া নিয়ম
সাধারণের মধ্যেই তৈরী হচ্ছে প্রতিরোধক, বাড়ছে সুস্থতার হার
পল্লবী কুন্ডু : যে প্রশ্নটি বারংবার সাধারণ মানুষের মধ্যে উঁকি দিয়েছে তা হলো, বাতাসেও কি কোভিডের ভাইরাস ভাষ্যমান ? এই প্রশ্ন নিয়ে নানান আলোচনার পর এবার ‘হু’-ও স্বীকার করে নিলো যে হ্যাঁ করোনা ভাইরাসের জীবাণু বাতাসে ভাষ্যমান এবং তারা এটিও জানাচ্ছে যে, বর্তমান পরিস্থিতি এমনই এসে দাঁড়িয়েছে যে প্রতিটি ঘরে ঘরে ভাইরাসের ভয়াল আক্রমণ শুরু হতে আর খুব একটা দেরি নেই।তবে নিজেকে সচেতন করে তুলতে হবে আরো।বিজ্ঞানীরা এই মুহূর্তে যে বিষয় টি জানাচ্ছে, বাতাসে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত জীবিত থাকতে পারে করোনাভাইরাস।সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে একদল গবেষক যা দাবি করেছেন, বাতাসে ভাসমান করোনাভাইরাসকে মারার জন্য তাঁরা তৈরি করেছেন বিশেষ ধরনের এয়ার ফিলটার। যে ফিল্টার টি খুব সহজ পদ্ধতির সাহায্যে স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, এবং এছাড়াও আরো বিভিন্ন ক্ষেত্রে এটি ভালো কাজ করতে পড়তে।বদ্ধ জায়গায় বাতাস থেকে ৯৯.৮ শতাংশ করোনাভাইরাস মেরে ফেলতে সক্ষম এই নতুন ‘ক্যাচ অ্যান্ড কিল‘ এয়ার ফিলটার।
এয়ার ফিল্টার একটি সীমা পর্যন্ত জায়গায় তার সক্ষমতা বজায় রাখতে পারে কিন্তু খোলা জায়গার জন্য কোনোকিছুই কার্যকরী নয় করোনার সামনে। এই বিষয় নিয়ে আমরা জানতে চাই ডাক্তার অনির্বান সুকুলের কাছে। তিনি জানান,’করোনা ভাইরাসকে সাধারণ অর্থে কোনো ফিল্টারই দমন করতে সক্ষম নয়, তবে ইউভি রে যুক্ত কোনো ফিল্টার থাকলে তবে কিছুটা হলেও দমন করা যেতে পারে কিন্তু সেক্ষত্রে সেই রে মানব শরীরের ক্ষতিও করতে পারে। কিন্তু একটি উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন ফিল্টার ভাইরাসকে একটি সীমা পর্যন্ত দমন করতে পারে।’
অন্যদিকে, কাল থেকে এক নতুন পর্যায়ের লকডাউন শুরু হচ্ছে। প্রশাসন আরো করা হাতেই সামাল দেবে গোটা পরিস্থিতি এমনটাই জানিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। কিন্তু এমতাবস্তায় করোনা ভয়ে ঘরে সিঁটিয়ে বসে থাকার সময় গেছে। বলতে গেলে কিছুটা বাড়তি ঝুঁকি নিয়েই মানুষকে বাইরে বেরোতে হচ্ছে, যেতে হচ্ছে কাজে। তবে তাহলে শারীরিক সুরক্ষার কি হবে ? মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস এবং স্যানিটাইজার ছাড়া আর কি বাড়তি সচেতনতা নেবেন তারা ? এই প্রশ্ন ডাক্তার সুকুলের কাছে তুলে ধরা হলে তিনি জানান,’এই মাস্ক, স্যানিটাইজার হলো আবশ্যকীয় পণ্য, যা ছাড়া এখন মানুষ অচল। কিন্তু সমীক্ষার হার যা বলছে মানুষের শরীরেই কিন্তু এই কোরোনার প্রতিরোধ নিজে থেকেই তৈরী হয়ে যাচ্ছে এর ফলে প্রতিদিন সুস্থতার হারও বেড়ে চলেছে। এ ছাড়াও ডায়েট চার্টে একটি খেয়াল রাখা প্রয়োজন যেটা শরীরে ইমিউনিটি পাওয়ার তৈরী করবে। রান্নায় একটু মসলা, তার সাথে প্রোটিন যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। এর পাশাপাশি হোমিওপ্যাথিক ওষুধ, আর্সেনিক অ্যালবাম ৩০ এই ওষুধটির কথা বলবো। আমি আমার কাছে যারা এসেছেন তাদেরকেও এটির কথা বলেছি এবং এখনো পর্যন্ত তারা সকলেই ভালো আছেন।’
অর্থাৎ পরিস্থিতি বদলাবেই কিন্তু তার জন্য অবশ্যই কিছু কসরত আপনাকে-আমাকেও করতে হবে। আর মনে রাখবেন আপনার সামান্যতম অসচেতনতা কিন্তু বিপদ ডেকে আনতে খুব একটা দেরি করবে না। তাই সচেতন থাকুন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে চলুন।