বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই পতঙ্গদের যদি আটকানো না যায়, তবে দেশের শস্যভান্ডারে টানা পড়তে পারে
ক্ষতি রুখতে হাই অ্যালার্ট জারি করল হিমাচল প্রদেশ সরকার
পল্লবী : সরকার কোন দিক ছেড়ে কোন দিক সামাল দেবে ? একদিকে সর্বশান্ত করা মারণ ভাইরাসের সাথে লড়তে লড়তেই মরণ প্রায় অবস্থা তার ওপর বিষ ফোঁড়া হয়ে পঙ্গপাল- এর রাজ। এবার পঙ্গপালের আক্রমণের আশঙ্কায় বেশ কিছু রাজ্যে হাই অ্যালার্ট জারি করল হিমাচল প্রদেশ সরকার। রাজ্যের মোট ১২ টি জেলার মধ্যে চারটি জেলাতে এই হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এই চার জেলার মধ্যে রয়েছে কাংরা, উনা, বিলাসপুর ও সোলান।
রাজ্যের কৃষি বিভাগের আধিকারিক আর কে কুন্ডাল বলেন, মরুভূমির পঙ্গপালের একটি বিশাল ঝাঁক প্রতিবেশী রাজ্যে ও সংলগ্ন এলাকায় ফসল ধ্বংস করে দিচ্ছে এবং হিমাচল প্রদেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, পঙ্গপালের দিকে অবিরাম নজরদারি রাখতে ও জরুরি পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে মাঠের কর্মীদের ও কৃষকদের সতর্ক করা হয়েছে। কৃষকদের পঙ্গপালের যে কোনও খবর নিকটবর্তী কৃষি কর্মকর্তাদের কাছে জানাতে বলা হয়েছে। তিনি বলেছেন, এই মরু পঙ্গপালেরা বাতাসের উপর নির্ভর করে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১৬ থেকে ১৯ কিলোমিটার বেগে বাতাসের সঙ্গে উড়ে যায়। এক্ষেত্রে হাওয়ার ওপর তাঁদের গতিবেগ নির্ভর করে।
ইতিমধ্যেই পঙ্গপালের দাপটে দেশের শস্য ফসলের বিরাট ক্ষতি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই পতঙ্গদের যদি আটকানো না যায়, তবে দেশের শস্যভান্ডারে টানা পড়তে পারে। এই পতঙ্গরা সংখ্যায় প্রচুর হয়ে হামলা করায় এরা কোনও বড় শস্য খেতকে কয়েক ঘন্টার মধ্যে ফাকা করে দিতে পারে।রাজস্থানের ৩৩ টি জেলার মধ্যে ১৬ টি জেলা এই পঙ্গপালের কবলে পড়েছে। মধ্যপ্রদেশেও হানা দিয়েছে এই ক্ষতিকারক পতঙ্গরা। মধ্যপ্রদেশ কৃষি দফতর কৃষকদের জানিয়েছে, পঙ্গপাল হানা দিলে তাদের প্রবল শব্দ করে তাড়িয়ে দিতে। সেজন্য ড্রাম এমনকী থালাবাটি বাজানোর কথা বলা হয়েছে।
সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ১০ জেলায় অ্যালার্ট জারি করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। উত্তরপ্রদেশ সরকারের এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘স্থানীয় স্তরের প্রতিনিধিদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাঁদেরকে পঙ্গপাল মোকাবিলার জন্য রাসায়নিক নিয়ে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। নতুন এ কোন বিপদের বিপদের মুখে পড়লো দেশ। তবে কি যেকোনো প্রকারে মানবসম্প্রদায়ের নিঃশেষ অনিবার্য !