তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে অগ্নিতপ্ত উত্তর ২৪ পরগনা
"আমি সিঁড়ির কাছে লুকিয়ে ছিলাম। আমাকে দেখলে ওখানেই মেরে দিত।’’- প্রভাষ ঘোষ

তিয়াসা মিত্র : তৃণমূলের অন্দরের লড়াই-এর আঁচ এর আগেও পেয়েছে বাংলা। তবে এইবার আগুনের আঁচ ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতে। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বোমাবাজিতে রণক্ষেত্র তেহাটা গ্রাম। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে আক্রান্ত তৃণমূলের নেতা , তিনি জানিয়েছেন – তাকে খুন করার লক্ষে তার বাড়িতে হামলা চালায়ে দলেরই কয়েকজন কিন্তু তাকে বাড়িতে দেখতে না পেয়ে দুষ্কৃতীরা বাড়ির সামনেই বোমাবাজি শুরু করে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, তেহাটার মোট চারজন তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমা মেরে বাড়ির রান্নাঘরের জানলা, ঘরের দরজা ভাঙার চেষ্টা করেছে। আর বৃহস্পতিবার রাতে এ কাজ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই করেছে বলে অভিযোগ। তৃণমূল সূত্রে খবর, শাসনের তেহাটা ঘোষপাড়া গ্রামের বাসিন্দা প্রভাস ঘোষ, দিলীপ ঘোষ, সঞ্জিত ঘোষ, হাকিম মোড়লের বাড়ি লক্ষ্য করে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব মোতালেব আলি, গফফার আলির নেতৃত্বে দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। আক্রান্তরা জানাচ্ছেন মোতালেব ও গফ্ফার তাঁদের অনুগামীরা এই এলাকায় যে সমস্ত মাছের ভেড়ি রয়েছে সেখানে তোলাবাজি করতেন। সেই ভেড়ির টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ ওঠে ওই তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে শুরু হয় গন্ডগোল। আর এ নিয়েই কয়েকজন তৃণমূল কর্মীর বাড়ি লক্ষ্য করে রাতভর বোমাবাজি করে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।
ঘটনাটি ঘটানোর পর অভিযুক্তরা পলাতক সেই স্থান থেকে। তবে ঘটনাতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে তেহট্ট গ্রামে। পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে ইতিমধ্যেই কিন্তু অভিযুক্তরা পলাতক। আক্রান্ত প্রভাষ ঘোষের স্ত্রী জানান- ” বোমার আওয়াজ শুনে উনি (স্বামী) বললেন তালা খুলে দাও। তার পর ওঁর নাম ধরে ডাকছে! আমি বলেছি, উনি বাড়িতে নেই। তার পরেই বাড়ির সামনে বোমা মারল। আমাদের গায়ে ছিটকেছে বোমার টুকরো।গা-হাত জ্বালা করছে।’’আর প্রভাসের নিজের কথায়, ‘‘ওঁদের সবার হাতে আগ্নেয়াস্ত্র আছে। আমি সিঁড়ির কাছে লুকিয়ে ছিলাম। আমাকে দেখলে ওখানেই মেরে দিত।’’