মাছের পাতুরি তো অনেক হল ! এবার বানান “মাছের ডিমের কদলীপত্রস”
অনেক হয়েছে এবার মাছের ঝোল,ঝাল আর না খেয়ে এই নতুন রেসিপিটি বানিয়ে দেখুনতো কেমন লাগে খেতে

চৈতালি বর্মন : খাদ্য রসিক বাঙালি সবেতেই খোঁজে নতুনত্বের স্বাদ। আর এই নতুনত্বের স্বাদ পেতে হলে ট্রাই করতে হবে নতুন রান্না। রান্নাঘর কারো কাছে কারাগার তো কারো কাছে গবেষণাগার। কারাগার তাদের কাছে যাদের মায়ের মতো রোজ রোজ হেঁশেল ঠেলতে হয়। আর গবেষণাগার তাদের কাছে যারা রান্না ঘরের রাণী থুড়ি সখের রাঁধুনি। আর আজ আপনাদের জন্য থাকছে এমনই একটি সখের রান্নার রেসিপি(Cooking Recipe)। আর আজকের সেই বিশেষ রেসিপিটির নাম হলো “মাছের ডিমের কদলীপত্রস”।
এবার দেখে নেওয়া যাক বানানোর উপকরণ-মাছের ডিম ২৫০ গ্রাম,পেঁয়াজ কুচি ১ টা,আদা বাটা ১চামচ,রসুন বাটা ১ চামচ,লঙ্কা কুচি ১০-১২টা (প্রয়োজনে কমবেশি করা যেতে পারে),জিরে গুঁড়ো ১ চামচ,ধনে গুঁড়ো ১ চামচ,হলুদ গুঁড়ো ১চামচ,কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো ১ চামচ,ব্যাসন ৩ চামচ,লবণ ১ চামচ (প্রয়োজনে কমবেশি করা যেতে পারে),কলা পাতা,সুতো।
এবার দেখেনিন পদ্ধতি : প্রথমে মাছের ডিম টাকে গরম জলে সামান্য সিদ্ধ করে নিতে হবে। এরপর খুব সাবধানে জল ঝরিয়ে নিয়ে একটা আলাদা বাটিতে মাছের ডিম টাকে রাখতে হবে। এবার ওই মাছের ডিমের সাথে একে একে দিয়ে দিতে হবে পেঁয়াজ কুচি,লঙ্কা কুচি, আদা বাটা, রসুন বাটা,জিরে গুঁড়ো,ধনে গুঁড়ো,হলুদ গুঁড়ো,কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো ,ব্যাসন এবং লবণ।এবার সমস্ত উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে মেখে নিতে হবে। এরপর যে কলাপাতা গুলোয় এই পদটি বানানো হবে সেগুলো গরম তাওয়ায় একটু সেঁকে নিতে হবে। এবার ওই কলাপাতায় সামান্য সরষের তেল দিয়ে মাখিয়ে নিয়ে তার ওপর মাছের ডিমের মিশ্রণ দিয়ে পাতুরির মতন শেপ দিয়ে কলা পাতাটাকে ভালো করে মুড়ে দিয়ে সুতো দিয়ে বেঁধে নিতে হবে।এইভাবেই একটা একটা করে সবগুলো পাতুরি বানিয়ে নিতে হবে।এরপর একটা তাওয়া তে খুবই সামান্য পরিমাণ তেল দিয়ে পাতুরি গুলো এপিঠ ওপিঠ করে ভালো করে ভেজে নিতে হবে।ব্যস তাহলেই রেডি গরম গরম মাছের ডিমের কদলীপত্র।