দুর্ঘটনা না চক্রান্ত : অনুব্রত মন্ডলের দেহরক্ষী সাইগেল হোসেনের পরিবার বিপদে
কড়া নজরে রেখেছে কি CBI ?

নিউজ ডেস্ক : : গতকাল ইলামবাজারে দুর্ঘটনার কবলে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর গাড়ি। তিন বছরের শিশু কন্যা সহ ২ মৃত ঘটনাস্থলেই। ভয়ঙ্কর ভাবে দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে গাড়িটি। ইতিমধ্যেই দেহদুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে বেশ কিছু ক্ষেত্রে :
১) কেন পরিবারের সাথে ছিলেন সাইগেল হোসেন ?
২) ড্রাইভার কি ভাবে বিপদ এড়ালেন ?
৩) কেনই বা তিন বছরের শিশু কন্যা বাবা মায়ের সাথে থাকলো না ?
৪) কে এই পেট্রল পাম্পের মালিক ?
৫) বিপদের পর প্রায় কেটে গেল ১২ ঘন্টা , এখনো ফরেনসিক পরীক্ষা হল না কেন ?
জানা গিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সাইগেল হোসেন পরিবারের সঙ্গে দুর্গাপুর গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার গভীর রাতে ইলামবাজার হয়ে ফিরছিলেন বোলপুরে। সামনের গাড়িতে ছিল সাইগেলের ৩ বছরের মেয়ে ও এক পেট্রল পাম্প মালিক, মাধব দাস। অন্যগাড়িতে ছিলেন সাইগেল, তাঁর বড় মেয়ে ও স্ত্রী। রাস্তায় ইলামবাজার এলাকায় ডাম্পারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় অনুব্রতর দেহরক্ষী সাইগেলের একটি গাড়ির। সম্পূর্ণ ভাবে দুমড়ে মুড়চে যায় সেটি। ঘটনায় বিকট শব্দ পেয়ে ছুটে যান স্থানীয়রা। কিন্তু গাড়ির চালক বেঁচে যায় আশ্চর্যজনক ভাবে।
এই ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় থানায়। স্থানীয় পুলিশ গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িটি থেকে উদ্ধার করে সাইগেলের ছোট মেয়ে ও মাধব দাসকে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আহতদের , ডাক্তার বাবুরা জানান তাদের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন ওই গাড়ির চালকও। জেলা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, দেহদুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা। গাড়ির গতিবেগ কত ছিল। কোনও যান্ত্রিক সমস্যা ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই ঘটনা রাজ্যে নতুন ভাবে চর্চা নিয়ে এল যে গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর জড়িয়ে পড়াকে কেন্দ্র করে । জানা যাচ্ছে এই নিরাপত্তা কর্মী অনুব্রত মন্ডলের সাথে দীর্ঘ্যদিন ধরেই আছেন। তাই জন্য CBI তাকে দীর্ঘ্য জেরা করেছিল। জানা যাচ্ছে সূত্র মারফৎ সাইগেল হোসেন অনুব্রত মন্ডলের অতিঘনিষ্ঠ দেহরক্ষী , সর্বক্ষণ এই নেতার সাথেই তাকে দেখা যেত। ফলে CBI এর কড়া নজর আছেই সাইগেল হোসেনের ওপর। রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু , এটা কি নিছকই দুর্ঘটনা না অন্য কিছু ?