শুষ্ক ও রুক্ষতার দিনে নিজেকে সতেজ রাখতে মেনে চলুন কিছু আয়ুর্বেদিক পন্থা
সুস্থ থাকতে অনেকেরই ডায়েটে পাকাপাকি ভাবে জায়গা করে নিচ্ছে আয়ুর্বেদ

পল্লবী কুন্ডু : শীত (Winter) একদিকে যেমন অত্যন্ত মনোরম ঠিক সেরকমই বিপরীতে রোগ-ভোগের দিন শুরু। সামান্য অসচেতনতা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য হানিকারক হয়ে উঠতে পারে। এই সময়ে নিয়মমাফিক পরিমাণ অনুযায়ী পুষ্টিকর খাবার না খাওয়ার দরুণ শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বিভিন্ন রকমের ত্বকের সমস্যা, অ্যালার্জি, হজমের গণ্ডগোল, ইনেফেকশন-এর সমস্যা লেগেই থাকে। যদিও এ বছর সব কিছুই অন্য রকম, অসুখের ধরণধারণও। করোনা অতিমারীর কাছে সব কিছুই নিমিত্ত মাত্র।
তবে চলতি সময়ে সুস্থ থাকতে অনেকেরই ডায়েটে পাকাপাকি ভাবে জায়গা করে নিচ্ছে আয়ুর্বেদ। বহুকাল ধরেই আয়ুর্বেদ(Ayurveda) রোগ নিরাময়ে বিশেষ ভাবে নিজের স্থান দখল করেছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সঠিক আয়ুর্বেদিক ডায়েট পালন করার কথা বলা হয়েছে প্রাচীণ শাস্ত্রে। আয়ুর্বেদের মতে স্বাস্থ্যকর জীবনের তিনটি মন্ত্র হল ‘সঠিক আহার’, ‘পরিমিত নিদ্রা’, ‘স্বাস্থ্যকর আচরণ’। পাশাপাশি আয়ুর্বেদ মাফিক জীবনযাত্রার দু’টি স্তম্ভ রয়েছে- প্রতিদিনের ডায়েট এবং ঋতুবিশেষের ডায়েট।
আর তাই বছরের শেষে নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে সুস্থ রাখতে জেনে নিন কিছু আয়ুর্বেদিক উপায়-
প্রথমত, ডায়েটে পরিবর্তন আনুন। এই মরসুমে টক জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করা শ্রেয়। শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ দেখায়। টক জাতীয় খাদ্যের মধ্যে ভিটামিন সি থাকে যা ত্বকের পক্ষে খুবই লাভজনক। উদাহরণ- কাঁচা আমলকি। এছাড়াও ডাল, গমের আটা, নতুন চাল, ভুট্টা, আখ, গুঁড় এই ধরণের খাদ্যে পুষ্টি রয়েছে। প্রোটিন জাতীয় প্রোডাক্ট যেমন দুধ, ডিম ইত্যাদি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। হাল্কা মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত্ এবং অবশ্যই এই মরসুমে ঈষত্ উষ্ণ খাবার গ্রহন করা শরীরের পক্ষে ভাল।
পাশাপাশি নিজের জীবনচর্চায়-ও আনুন কিছু পরিবর্তন। আপনার ত্বক যাতে মোলায়েম এবং উজ্জ্বল দেখায় তার জন্য প্রতিদিন তেল এবং ক্রিমের ব্যবহার করা প্রয়োজন। যেহেতু করোনা আবহে বাইরে যাওয়ার উপায় নেই তাই বাড়িতেই রূপচর্চা করে নিজেকে সাজিয়ে তুলুন। হলুদ, চন্দন, অ্যালোভেরা জেল এই তিনটির মিশ্রনে প্যাক বানিয়ে সপ্তাহে দু’দিন মুখে লাগান। এর ফলে ত্বক অনেক উজ্জ্বল দেখাবে। শীতের মরসুমে সূর্যের মিঠে রোদ ত্বকের জন্য খুবই ভাল। সূর্যের আলোয় ভিটামিন ডি থাকে। গরম জলে স্নান করুন। অতিরিক্ত হাঁটা, দেরি করে রাতে শোয়ার অভ্যেস বদলান।
আপনার জীবনধারণে সামান্য কিছু পরিবর্তন আনুন দেখবেন আপনি নিজের থেকেই উপহার পাচ্ছেন একটা সুস্থ, সতেজ, সপ্রাণ জীবন।