একটুর জন্য রেহাই,’বুলেটপ্রুফ গাড়িতে ছিলাম বলে বেঁচে গেছি’ বললেন নাড্ডা
নাড্ডার কনভয়ে ইটবৃষ্টি, উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে হাতে চোট পেয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়
পল্লবী কুন্ডু : প্রথমে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান, সাথে কালো পতাকা। আর এবার ইট বৃষ্টি। অভিষেকের গড় ডায়মণ্ডহারবারে (Diamond Harbor) জেপি নাড্ডার সভা ঘিরে রীতিমতো রণক্ষেত্র পরিস্থিতি। পূর্বনির্ধারিত সভায় যাওয়ার পথে এদিন জেপি নাড্ডা(J. P. Nadda) এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয়(Kailash Vijayvargiya)র গাড়িতে ইটবৃষ্টি হল। পাশাপাশি বিক্ষোভকারীরা ভাঙচুর মুকুল রায়ের গাড়িতেও। এরূপ উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে হাতে চোট পেয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এই সব খবর অমিত শাহ(Amit Shah)র মন্ত্রককে বিস্তারিত জানান রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh), অমিত শাহর সঙ্গে কথা হয় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি নাড্ডারও।সূত্রের খবর, চিঠি পেয়েই সজাগ হয় কেন্দ্র এবং তড়িঘড়ি কেন্দ্রের তরফে গোটা ঘটনার রিপোর্ট তলব করা হয়েছে রাজ্যের থেকে।
প্রথমেই অভিযোগ ওঠে, এলাকার টাউন সভপতিকে ফ্লেক্স নিয়ে বচসায় আগ্নেয়াস্ত্র দেখানো হয়েছে। পরে দুপুর বারোটা নাগাদ নাড্ডার কনভয়ে এদিন শিরাকোলের কাছে পৌঁছতেই শুরু হয় ইটবৃষ্টি। নাড্ডার সভার আগে তাঁর কনভয় শিরাকোল মোড় থেকে দফায় দফায় আটকায়। কনভয়ে ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। ভাঙচুর করা হয় বাস, সংবাদমাধ্যমের গাড়ি। ইট ছোড়া হয় কেন্দ্রীয় নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের গাড়িতে। গাড়ির সামনের কাচ ভেঙে যায়। ড্রাইভারের দিকের কাচ ভেঙে পাথর গাড়ির ভেতরে ঢোকে। অভিযোগ এমনই।
এই ঘটনার খবর পেয়েই টুইট করে তীব্র নিন্দা করেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বিজেপি সভাপতির উপর হামলার ঘটনা এই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবস্থার পরিচয় দিচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। অপর দিকে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘গোটা রাস্তা পুলিশ দিয়ে নজরদারি চালানো সম্ভব নয়। কিছু কিছু জায়গায় জনগণ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।’ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় আবার বলেছেন, ‘বাংলায় জঙ্গলরাজ চলছে।’বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা আবার দাবি করেছেন, ‘আক্রমণে মুকুল রায় ও কৈলাস বিজয়বর্গীয় আহত হয়েছেন। এটা গণতন্ত্রের পক্ষে লজ্জা। কনভয়ের সব গাড়িতেই আক্রমণ চালানো হয়েছে। বুলেটপ্রুফ গাড়িতে ছিলাম বলে বেঁচে গেছি।’ এরপর জনসভায় নাড্ডা বলেন, ‘এই গুন্ডারাজ বেশিদিন বরদাস্ত করা হবে না। জঙ্গলরাজ চলছে। প্রশাসন ভেঙে পড়েছে।’ কৈলাস বিজয়বর্গীয়র কথায়, ‘পুলিশের সামনেই এই আক্রমণ হয়েছে।’
তবে সংশ্লিষ্ট এই ঘটনা নিয়ে যে বিষয় টি উঠে আসছে তা হলো, এই ইটবৃষ্টির নেপথ্যে রয়েছে তৃণমূলের একটি সভা, সভায় ছিলেন শওকত মোল্লা-সহ একাধিক তৃণমূল নেতা। একদিনের নোটিসেই শিরাকোলে তৃণমূলের মিছিলে বিপুল তৃণমূল কর্মী সমর্থক জড়ো হন। জেপি নাড্ডা ও রাকেশ সিংয়ের গা়ড়ি সেখানে আসতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ, বিজেপি নেতা রাকেশ সিংয়ের অঙ্গভঙ্গিতে উত্তেজিত হয়ে তৃণমূল সমর্থকরা ধুন্ধুমার শুরু করে। হামলা হয় কৈলাস বিজয়বর্গীয়দের গাড়িতেও।