চৈনিক আদিপত্যতে লাগাম টেনে বাজারে আসছে টয় সিটি
যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি গ্রেটার নয়ডায় তৈরি করছে টয় সিটি।
পল্লবী কুন্ডু : সম্প্রতি ইন্দো-চিন বিবাদের ফলে ভারতীয় বাজারে বেশ বড়-সরো ধাক্কা চিন। ভারতের রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে সমস্ত ভারতীয় নাগরিকেরা সোচ্চার হয়েছিলেন চিনের বিরুদ্ধে। সমস্ত চিনা দ্রব্য বর্জনের দাবিতে সোচ্চার হয়েছিল গোটা ভারত। ভারতীয় খেলনার বাজারে চিনের একটা অভাবনীয় প্রভাব ছিল তবে এবার সেই আধিপত্যতেও রাস টেনে আত্মনির্ভর হচ্ছে ভারত। যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি গ্রেটার নয়ডায় তৈরি করছে টয় সিটি। যেখানে এবার থেকে প্রস্তুত করা হবে হরেক রকম খেলনা, যা এতদিন চিন থেকে আমদানি করত ভারত।
এই গোটা কর্মপ্রয়াস যদি সঠিক পরিকল্পনা মাফিক হয় তবে শুধু যে খেলনা জগতেই যে আত্মনির্ভর হয়ে উঠবে তা নয়, প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে জানাচ্ছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। পাশাপাশি, চিন থেকে বন্ধ হবে আমদানি। আর্থিক ক্ষতির মুখেও পড়বে বেজিং। ইতিমধ্যেই টয় সিটি তৈরি করতে গ্রেটার নয়ডার সেক্টর ৩৩য়ে ১০০ একর জায়গা বেছেছে রাজ্য সরকার। প্রায় হাজার খানেক মানুষ এখানে কাজ পাবেন বলে আশা।
যমুনা অথরিটি জানিয়েছে প্রাথমিক ভাবে এখানে ৫০ হাজার মানুষ কাজ পাবেন। তবে ভবিষ্যত পরিকল্পনা রয়েছে প্রায় ৪ লক্ষ মানুষকে কাজ দেওয়ার। এর মধ্যে পরোক্ষভাবে এই কাজ করবেন, তেমন কর্মসংস্থানও থাকবে। চলতি সময়তে খেলনার দাম আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে তাই দেশীয় ভাবে যদি এই জগতে আদিপত্য বিস্তার করা যায় তবে তা দেশের জন্য বেশ লাভের ব্যাপার। এই পরিস্থিতিতে টয় অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে যদি ভারতে উত্পাদিত বিভিন্ন জিনিস দিয়ে খেলনা তৈরি করা যায়, তবে খেলনার দাম কমে আসবে অনেকটাই। এতে বিদেশি পণ্যের ওপর নির্ভরতা অনেকটাই কমবে। এজন্য ৭০টি অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা হবে এই টয় সিটিতে।