আইপিএল বেটিং কাণ্ডে এবার হাতে-নাতে পাকড়াও ৭ জুয়ারি
ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা ও ১২ টি মোবাইল ফোন।

পল্লবী কুন্ডু : এবার আইপিএল শুরু হওয়ার সাথে সাথে সমাজের যুব সম্প্রদায় জড়িয়ে পড়েছে এক ভিন্ন দুর্নীতির সাথে। খেলা নিয়ে হচ্ছে বেটিং, সাথে লাখ লাখ টাকার কারবার।কলকাতার পর এবার সেই একই দৃশ্য নজরে আসলো হুগলিতে। কোন্নগরের ধর্মডাঙা এলাকার একটি বাড়ি থেকে বেটিংয়ের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করল উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা ও ১২ টি মোবাইল ফোন। এদিন তাদের শ্রীরামপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে।প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, আইপিএলের বেটিং চক্রের বিভিন্ন অ্যাপ রয়েছে। মোবাইলে সেই অ্যাপ ডাউনলোড করেই চলছে এই বেটিং কারবার।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, কোন্নগরের ধর্মডাঙার ওই বাড়ি থেকে যাদের আটক করা হয়েছে সেই ধৃতদের নাম অমিত গুপ্ত, আনন্দ কাশ্যপ, সৌরভ সিংহ রায়, মনোরঞ্জন সিং, মোহিত শর্মা, রাজু যাদব, শুভজিত্ দে। এদের প্রত্যেকের বয়স ২৪ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। সকলেরই বাড়ি উত্তরপাড়া, হিন্দমোটর ও কোন্নগর এলাকায়। জানা গিয়েছে, আইপিএল শুরু হওয়ার আগে থেকেই ধৃতরা পরিকল্পনা করে শুভজিতের বাড়িতে এই বেটিং চক্র বসায়। তবে এদের পিছনে কোনও বড় মাথা কাজ করছে বলে মনে করছে পুলিশ।
গোপনসূত্রে জানতে পেরে পুলিশ তৎক্ষণাৎ হানা দেয় ওই বাড়িতে এবং আটক করে ৭ জুয়ারিকে।তবে অনলাইনে আইপিএলের এই বেটিং চললেও কোনও অবস্থাতেই টাকাপয়সা অনলাইনে লেনদেন হত না। সবটাই হতো সামনাসামনি।সোমবার রাতে আরসিবি ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ম্যাচে রীতিমতো জাল বিছিয়ে বসেছিল এই সাত যুবক। খেলার শুরু থেকেই সব কিছুই ভাল চলছিল। চার ছয় মারার সঙ্গে সঙ্গে জুয়ার দরও ওঠানামা করছিল। খেলা নির্ধারিত ওভারের পর টাই হয়ে যাওয়ার পর সুপার ওভার নিয়ে এক বড়ো ফাঁদ পেতেছিল এরা।