অতিরিক্ত মধু কি সত্যি “মধুর”? জেনে নিন কি বলছেন চিকিৎসকরা
অত্যাধিক মধু শরীরের পক্ষ্যে বিষ, তাই অল্প পরিমান ই শ্রেয়

পৃথা কাঞ্জিলাল : মধুকে বলা হয়ে চিনির বিকল্প। নানাভাবে নানান খাবারে মধু দিয়ে স্বাদ বৃদ্ধির চেষ্টা করা হয়ে। তবে এর অত্যধিক পরিমানে ব্যবহার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। মধুতে থাকে ভিটামিন বি, অ্যামিনো অ্যাসিড, এনজাইম, খনিজ, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি । এর ব্যবহার ক্ষত দ্রুত নিরাময়ে সহায়তা করে। এটি কাশি এবং গলাতে উপশম মিলতেপারে। তবে এর স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও রয়েছে। প্রায়শই লোকেরা এ সম্পর্কে খুব বেশি জানেন না। জেনে নিন কিছু ক্ষতিকর পার্শপ্রতিক্রিয়া।
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায় :
এটি অবশ্যই নিশ্চিত যে মধু চিনির একটি বিকল্প তবে এর অর্থ এই নয় যে আপনি শুধু এটিই ব্যবহার করবেন। মধু প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি এবং এতে শর্করাও পাওয়া যায়। এটি আপনার রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে পারে। ডায়াবেটিস আক্রান্তদের তাদের ডায়েটে সতর্কতার সাথে এটি ব্যবহার করা উচিত্।
- ওজন বৃদ্ধি :
মধুর হাতছানি আপনার ওজনও বাড়িয়ে তুলতে পারে। মধুর অতিরিক্ত ব্যবহার আপনার প্রতিদিনের ক্যালোরি গ্রহণ বাড়ায়।
- রক্তচাপ বৃদ্ধি :
মধুতে বর্তমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তচাপ বাড়াতে সহায়ক হতে পারে এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। - দাঁতের জন্য ক্ষতিকারক :
মধুর সাধারণত এটি মুখের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল বলে বিবেচিত হয় না। চটচটে হওয়ার কারণে মধু দাঁতে আঠালো হয়ে লেগে থাকে এবং দাঁতের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।
একদিনে বেশি মধু খেতে বারণ করছেন চিকিৎসকরা। বিশেষ করে যদি আপনি ওজন হ্রাস করতে চান তবে প্রতিদিন এক বা দুই চামচের বেশি মধু ব্যবহার করবেন না সেটা দিনের যে কোনো সময়েতেই হোক।