“মা কাউকে নিরাশ করেন না আজকের দিনে” আশায় তারাপীঠের পথ ধরছেন অনেক ভক্ত
সকাল থেকে তারাপীঠে নামছে ভক্তের ঢল, চলছে পুজো দেওয়া তবে কোভিড প্রোটোকল মেনেই

পৃথা কাঞ্জিলাল : কালীপুজো (Kali Puja) ও দীপাবলির ( Diwali) এই পুণ্যলগ্নে দক্ষিণেশ্বর (Dakhineshwar), তারাপীঠের (Tarapith) মতন জায়গায় ভক্তের ঢল নামে বলে এ জানি আমরা সবাই। সারাবছর ভিড় থাকলেও এই দিনটিতে বিশেষ ভাবে অনেকেই যান এখানে। এই বছর ও তার ব্যতিক্রম হয়নি তবে সবটাই করোনা বিধি মেনে। তারাপীঠ কিন্তু কোনও সতীপীঠ নয়। এই ভ্রম অনেকের মনেই আছে। তারাপীঠ আসলে তন্ত্রপীঠ। মা আজ এখানে শ্যামা রূপে পূজিতা হন যেটি তারারই একটি রূপ।
তারাপীঠের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে দ্বারকা নদ (Dwarka River)। এখানে স্নান করা অবশ্য কর্তব্য।এই নদে স্নান করে আজ তন্ত্রপীঠে পুজে দিলে ‘মা’ কাউকে নিরাশ করেন না বলে বিশ্বাস ভক্তদের। এই নদকে দ্বাপরের গঙ্গা বলা হয়। এখানে স্নান করলে কুম্ভ স্নানের পুণ্যার্জন হয়। তাই এইদিনে ভিড় জমান দূর দূরান্ত থেকে আসা ভক্তরা। মন্দিরের অন্যতম সেবায়েত শ্রী গোলক মহারাজ জানালেন, ভোর সাড়ে ৫ টায় মঙ্গল আরতি হয়েছে। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে গর্ভগৃহে দর্শন। তবে সবকিছুই হচ্ছে কোভিড প্রোটোকল মেনে।
দুপুর ১ টায় হবে ভোগ নিবেদন। ভোগে থাকবে পাঁচ ভাজা, পোলাও, খিচুড়ি, শোল মাছ, মিষ্টি। আজকের ভোগে শোল মাছ আবশ্যিক। আজ তারাপীঠে বহু ভক্তের সমাগম হয়। তাই রান্নার দায়িত্বে আছেন ২০ জন ঠাকুর। দুপুর ১.৩৮ এ অমাবস্যা পড়ছে। তারপর থেকে পুজো চলবে সারাদিন রাত। রাত ১০ টায় অমাবস্যার নিশি পুজো অনুষ্ঠিত হবে। রাতে বিশেষপুজো, মধ্যরাতে শয়ন।