কালীপূজোতেও বহাল রইলো ‘নো এন্ট্রি’, নিষিদ্ধ বাজি পোড়ানোতে
'বাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ হোক', জনগণের ইচ্ছেতে সিলমোহর হাইকোর্টের

পল্লবী কুন্ডু : দুর্গাপুজোতে এতটা কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল বলেই হয়তো বড়ো-সরো বিপদ এড়াতে সক্ষম হয়েছিল বাংলা। এবার কালীপুজো(Kali Puja) নিয়েও একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছিল সাধারণ মানুষ। পুরোপুরি ভাবে বাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ হোক এমনটাই চাইছিলো আমজনতা। আর তাতেই এবার সিলমোহর হাইকোর্টের।
কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্যে বাজি পোড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করল কলকাতা হাইকোর্টের গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। পরিবেশ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিল, কালীপুজো থেকে ছট পর্যন্ত বাজি পোড়ানো যাবে না। বিক্রিও করা যাবে না বাজি। বাজি পোড়ালে বাতাসে কার্বনডাই অক্সাইডের মাত্রা অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যায়। তাই কোভিড পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে এ বছর বাজি পোড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন হয়েছিল আদালতে। পরিবেশ আদালতের শুনানিতে এদিন এই রায় দিয়েছে আদালত।
এদিন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ কার্যকর করার বিষয়টি অবশ্যই পুলিশকে দেখতে হবে।পাশাপাশি বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশের প্রশংসাও করেন। বলেন, দুর্গাপুজোয় পুলিশ খুব ভাল কাজ করেছে। দুর্গাপুজোয় মণ্ডপগুলি যেমন নো এন্ট্রি জোন করা হয়েছিল, তেমনই কালীপুজোর ক্ষেত্রেও করা হয়েছে। পূর্বপরিকল্পনা অনুসরণ করেই এদিন আদালত বলেছে, ৩০০ বর্গ মিটারের ছোট মণ্ডপের পাঁচ মিটার দূরে থাকবে নো এন্ট্রি বোর্ড। সর্বাধিক ১০ জন মণ্ডপের ভিতর থাকতে পারবেন। ৩০০ বর্গ মিটারের চেয়ে বড় মণ্ডপে একসঙ্গে ৪৫ জনের থাকার অনুমতি দিয়েছে আদালত। ঢাকিরা এই দূরত্বের মধ্যে থেকেই ঢাক বাজাতে পারবেন। আদালত তরফে আরো জানানো হয়েছে, বিসর্জনের সময়ে কম লোক নিয়ে ঘাটে যেতে হবে। কোনও ভাবেই ভিড় করা যাবে না। পুজো প্যান্ডেলে মাস্ক ও স্যানিটাইজারের ব্যবহার বাধ্যতামূলক বলে জানিয়ে দিয়েছে পরিবেশ আদালত।