নিজের জন্মদাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন, তাহলে একজন মা-ও কি তবে ভোগ্যপণ্য তার সন্তানের কাছে ! ভাবাচ্ছে গোটা সমাজকে
নিজের রাগ কে নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পেরে নিজের মাকে ধর্ষণ করে হত্যা করে কর্নাটকের এই যুবক

পল্লবী কুন্ডু : শুধুই কি মানবিকতা লোপ পেয়েছে ! নাহঃ এতো রীতিমত মানসিক বিকৃতির উদাহরণ। মা পরকীয়া করেন। বিধবা মা সম্পর্ক তৈরী করেছেন পর পুরুষের সাথে, আর তা নিয়েই রাগ ছেলের। আর নিজের রাগ কে নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পেরে নিজের মাকে ধর্ষণ করে হত্যা করে কর্নাটকের (Karnataka) এই যুবক। এও কি সম্ভব ?
অভিযুক্ত ওই যুবকের সম্পর্কে জানা যায় যে, তার বাবা অর্থ্যাৎ ওই মিহলার স্বামী মারা গিয়েছেন দু’বছর আগে। আর তারপরেই অন্য এক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন কর্নাটকের ওই মহিলা। তাঁর ২১ বছরের ছেলে শিবাপ্পা নিজের মায়ের এই রূপ, এই কার্যকলাপ মেনে নিতে পারেনি কোনোভাবেই। সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে বারংবার বচসাও বাঁধে।
এমনকি বহুবার এই নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি করেছে সে, হুমকিও দিয়েছে। তারপরেই, ১৩ নভেম্বর মদ্যপ অবস্থায় মাকে জোর করে মদ খাওয়ায় ছেলে। আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা হয়েছিল। দু’জনেই বাড়ি থেকে বেরনোর পর মাঝরাস্তায় মাকে আটকায় সে। তারপর নিজের মাকেই ধর্ষণ করে প্রাণে মেরে ফেলল। ঘটনার পরে নিজেই অপরাধ স্বীকার করে পুলিশে ধরা দেয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ এবং ৩৭৬ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে শিবাপ্পার বিরুদ্ধে।
বিকৃত মস্তিস্ক নাকি সম্পূর্ণটাই নিজের মায়ের প্রতি রাগ থেকে ? তাই বলে এমন কাজ ! অবিশ্বাস্য। সমাজের এমন রূপ এবার সত্যিই ভাবাচ্ছে মেয়েদের। যেখানে একজন মা তার সন্তানের কাছেই সুরক্ষিত নন তখন বাকি মহিলারা ভোগ্যপণ্য ছাড়া হয়তো আর কিছুই নয়। তবে অবশ্যই তা কিছু মানুষের ক্ষেত্রে। এমন পৈশাচিক মনোবৃত্তি গোটা সমাজের কখনোই হতে পারেনা।