
শ্রী রাজর্ষি :
২৭ নক্ষত্রের মধ্যে অন্যতম মঘা থেকে মাঘ পূর্ণিমার উৎপত্তি। পুরাণ অনুযায়ী মাঘ পূর্ণিমার দিনে বিষ্ণু স্বয়ং গঙ্গায় বাস করেন। তাই এ দিন গঙ্গাস্নানের বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে।
মাঘ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে মাঘ পূর্ণিমা বলা হয়। ২৭ নক্ষত্রের মধ্যে অন্যতম মঘা থেকে মাঘ পূর্ণিমার উৎপত্তি। পুরাণ অনুযায়ী মাঘ পূর্ণিমার দিনে বিষ্ণু স্বয়ং গঙ্গায় বাস করেন। তাই এ দিন গঙ্গাস্নানের বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। চলতি বছর বুধবার মাঘ পূর্ণিমা পালিত হবে। পাশাপাশি প্রয়াগরাজে এক মাস ব্যাপী কল্পবাসের সমাপ্তিও এদিনই ঘটে।
মাঘ পূর্ণিমার মাহাত্ম্য
পৌরাণিক গ্রন্থে মাঘ পূর্ণিমার মাহাত্ম্যর উল্লেখ পাওয়া যায়। প্রচলিত আছে যে, এদিন দেবতারা নিজের রূপ পরিবর্তন করে গঙ্গা স্নান করতে প্রয়াগরাজ আসেন। যাঁরা প্রয়াগরাজে এক মাস পর্যন্ত কল্পবাস করে, তার সমাপ্তি মাঘ পূর্ণিমার দিনই করেন তাঁরা। কল্পবাসের পর মাঘ পূর্ণিমার দিনে গঙ্গার পুজো করে সাধু, সন্ত ও ব্রাহ্মণদের সযত্নে ভোজন করান। মনে করা হয় যে, মাঘ পূর্ণিমার দিনে গঙ্গা স্নান করলে শরীরের রোগ নষ্ট হয়ে যায়।
মাঘ পূর্ণিমার শুভক্ষণ
পূর্ণিমা তিথি শুরু- ১৫ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা ৪২ মিনিট থেকে।
পূর্ণিমা তিথি সমাপ্ত- ১৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১টা ২৫ মিনিটে (১৭ ফেব্রুয়ারি)।
স্নান-দানের শুভক্ষণ
১৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা ৪২ মিনিট থেকে রাত ১০টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত। স্নানের পর দান করা বিশেষ ফলদায়ী। জ্যোতিষ অনুযায়ী মাঘ পূর্ণিমার দিনে কর্কট রাশিতে চন্দ্র ও অশ্লেষা নক্ষত্রের যুতি হওয়ায় শোভন যোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এই যোগ অত্যন্ত শুভ। অন্য দিকে এদিন দেবগুরু বৃহস্পতি ও সূর্য কুম্ভ রাশিতে বিচরণ করবেন। বৃহস্পতি ও সূর্যের এই জুটির ফলে মাঘ পূর্ণিমার দিনে গুরু আদিত্য যোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
লক্ষ্মীকে প্রসন্ন করার উপায়
১. মাঘ পূর্ণিমার দিনে তুলসি গাছের পুজো করা উচিত। পূর্ণিমার সকালে স্নানের পর তুলসিকে ভোগ দিন, জল অর্পণ করুন ও প্রদীপ জ্বালান। এর ফলে লক্ষ্মী প্রসন্ন হন।
২. পূর্ণিমার দিনে লক্ষ্মীর মন্ত্র জপ করা উচিত। এদিন লক্ষ্মীর মূর্তিতে ১১টি কড়ি অর্পণ করে তাতে হলুদের তিলক করুন ও পরের দিন সমস্ত কড়িকে একটি লাল কাপড়ে বেঁধে লকারে রেখে দিন। এমন করলে আপনার ওপর লক্ষ্মীর আশীর্বাদ থাকবে।
৩. শাস্ত্র মতে, এদিন অশ্বত্থ গাছে লক্ষ্মীর আগমন হয়। তাই স্নানের পর সকালে অশ্বত্থ গাছে জল অর্পণ ও পুজো করুন। এর ফলে লক্ষ্মী সমস্ত কষ্ট দূর করবেন।
৪. মাঘ পূর্ণিমার দিনে লক্ষ্মীকে পায়েসের ভোগ অর্পণ করুন এবং পুজোর পর মন্ত্র জপ করুন।