ভোরের অন্ধকারে ভিজলো তিলোত্তমা, জানান দিলো শীতের আগমনের
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে আজ দিনভর মেঘলা থাকবে আকাশ

পল্লবী কুন্ডু : কাক ভোরেই হঠাৎ করে শিরশিরানি অনুভব, পায়ের কাছে পরে থাকা চাদর ঘুমের ঘোরে গায় টেনে নিয়ে ধীরে ধীরে অনুভত হলো একটা শব্দ। জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে তাকাতেই বোধগম্য হলো অঝোরে ঝরছে বৃষ্টি, তার তা জানান দিচ্ছে শীতের (Winter) আগমনবার্তা। হাতে-নাতে ফলে গেলো পূর্বাভাস, ভোরের অন্ধকারেই ভিজলো শহর কলকাতা (Kolkata)।এদিন ভোর সাড়ে ৪টে থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হয়েছে কলকাতা ও আশেপাশের জেলাগুলিতে। পাশাপাশি সকাল থেকেই কালো হয়ে আছে আকাশ। তার জেরে খুব ঠান্ডা না লাগলেও বাতাসের ছোঁয়ায় শিরশিরানি বহাল রয়েছে।
আর এর পরেই হাওয়া অফিস সূত্রে খবর সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী সোমবার থেকেই পারদ পতন হতে চলেছে বাংলার। এই মহানগরীতেপারদ ২০ ডিগ্রির নীচে নেমে ১৫ তে এসে দাঁড়াতে পারে বলে খবর হাওয়া অফিসের। আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipur Meteorological Department) জানিয়েছে আজ দিনভর মেঘলা থাকবে আকাশ।দিনে গরম কম লাগলেও রাতের দিকে অস্বস্তি হতে পারে। তবে আজও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামীকালও রাজ্যের কিছু কিছু এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে বিক্ষিপ্ত ভাবে। তবে আগামীকাল থেকেই আকশের মেঘ কেটে যেতে চলেছে। সোম সকাল থেকেই মিলবে মেঘমুক্ত আকাশ আর রোদে ঝলমল দিন।
আর রোদ ঝলমলে আবহাওয়ার সাথেই ফুল ফর্মে ব্যাটিং করতে শুরু করবে শীত। তার জেরেই কলকাতার এখন সর্বনিম্ন যে তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির ওপরে রয়েছে সেটাই নেমে আসতে পারে ১৫ ডিগ্রিতে। রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলিতে সেই তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রিতে এসে নামতে পারে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে তা ১০ ডিগ্রিতে গিয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। পাশাপাশি জানা যাচ্ছে, কাশ্মীরের বুকে এবার একের পর এক পশ্চিমি ঝঞ্ঝা আসতে চলেছে। সে সব ঝঞ্ঝার হাত ধরে এই বাংলাতেও লাগাতার ঠান্ডার অনুভূতি বাড়বে। তবে আশঙ্কাও থাকছে। বঙ্গোপসাগরের জল ক্রমাগত উষ্ণ হতে থাকায় যেমন ঘন ঘন নিম্নচাপ বা ঘূর্ণীঝড়ের সৃষ্টি হচ্ছে তেমনি এই শীতের মুখে বিপরীত ঘূর্ণাবর্তের সম্ভাবনাও দেখা দিতে পারে। তার জেরে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ধেয়ে আসা শুকনো ঠান্ডা বাতাসের সামনে পাঁচিত তুলে দিতে পারে দক্ষিনের জোলো বাতাস।
অতএব এই করোনাকালে হাড় কাঁপানো শীতের সাথেই জমবে পৌষ-সংক্রান্তির পিঠে পার্বন।