দর্শক শূন্যই থাকবে মন্ডপ, তবে রায়ে খানিক পরিবর্তন রাখল হাইকোর্ট
বড় মন্ডপে ৬০ আর ছোট পূজাতে ৩০ জন থাকার মিলল অনুমতি

দেবশ্রী কয়াল : বেরিয়ে গেছে হাইকোর্টের রায়। মিলল খানিক ছাড়। তবে পূজা মন্ডপে দর্শকদের প্রবেশের পুনঃনির্বাচনের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট(Kolkata High Court)। আগের দিনের যে রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট আজ তাতে খানিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। বড়পুজোয় মণ্ডপের ভিতরে প্রবেশের জন্য পুজো কমিটির সদস্য ও ঢাকি-সহ ৬০ জনের নামের তালিকা বানানো যাবে। তবে একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৪৫ জন থাকতে পারবেন মণ্ডপের ভিতরে। অপরদিকে ছোটপুজোর মণ্ডপে ৩০ জনের তালিকা তৈরি করতে হবে। তবে এক সঙ্গে মন্ডপে সর্বোচ্চ থাকতে পারবেন ১৫ জন। প্রতিদিন ঘুচিয়ে ফিরিয়ে এই তালিকা তৈরী করতে হবে এবং তা সকাল ৮টার মধ্যে মন্ডপের বাইরে টাঙিয়ে দিতে হবে। প্রতিদিন এই তালিকা আপডেট করতে হবে।
গত সোমবার দুর্গাপুজোর(Durga Puja) মণ্ডপ দর্শক শূন্য রাখার রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। গত সোমবার বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অরিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চের রায় ছিল, ছোট পুজোর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৫ জন এবং বড় পুজোর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৫ জন পুজোর জন্য নো-এন্ট্রি জোনে ঢুকতে পারবেন। তবে দর্শকদের ওই নো-এন্ট্রি জোনে ঢোকা নিষিদ্ধ। বড় পূজা গুলির ক্ষেত্রে ১০মিটার এবং ছোট পূজা গুলির ক্ষেত্রে ৫ মিটার দূর থেকে দর্শনার্থীরা মা কে দেখতে পাবেন। এরপর সেই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি নিয়ে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ফোরাম ফর দুর্গোত্সব কমিটি(Forum For Durgotsav)। জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন করেছিল পুজো উদ্যোক্তাদের ফোরাম। তাই আজ বুধবার মামলার শুনানিতে কিছুটা ছাড় দিয়ে, কার্যত আগের রায়ই বহাল রেখেছেন হাইকোর্টের দুই বিচারপতি।
অর্থাৎ আগের রায়ের ন্যায়েই এই বছর দর্শকশূন্য থাকবে মন্ডপ। দূর থেকেই দেখতে হবে মা’কে। অনুমতি নেই সিঁদুর খেলাতেও। পূজা মন্ডপে প্রবেশের অনুমতি না থাকলেও নো এন্ট্রি জন্যে থাকতে পারবেন ঢাকিরা। মানতে হবে সকল সুরক্ষাবিধি নিয়ম, মাস্ক সকলের জন্যে বাধ্যতামূলক। তবে অঞ্জলি কেমন ভাবে হবে তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট নয় কিছু। আশা করা যাচ্ছে হাইকোর্টের এমন সিদ্ধান্তের জেরে করোনা সংক্রমণ দ্বিগুন হারে বেড়ে যাওয়ার যে আশঙ্কা হয়েছিল তা হয়ত এখন অনেকটাই কমে গেছে।