একাধিক নিয়মের সাথে শীঘ্রহি কলকাতায় এবার চালু মেট্রো রেল
মানতে হবে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং, মাস্ক ছাড়া কারোর নেই প্রবেশের অনুমতি

দেবশ্রী কয়াল : দীর্ঘ অবসানের পর অবশেষে আগামী ১৪ই সেপ্টেম্বর থেকে কলকাতায় পুনরায় চালু হতে চলেছে মেট্রো রেল। তবে হ্যাঁ, এর আগে ১৩ই সেপ্টেম্বর চলবে স্পেশাল মেট্রো নিট পরীক্ষার জন্যে। কিন্তু সবার মনের মধ্যে একটাই প্রশ্ন এই করোনা পরিস্থিতিতে যেখানে দৈনিক সংক্রমণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে সেখানে কীভাবে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে মেট্রো চালু হবে ? এবং চালু হলেও তা কতটা সুরক্ষাপূর্ণ হবে ? আর এর জন্যেই ইতিমধ্যে জারি করা হয়েছে বেশ কিছু নির্দেশিকা।
জানা যাচ্ছে আপাতত মেট্রো চলবে নোয়াপাড়া থেকে কবি সুভাষের মধ্যে। সকাল ৮ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত চলবে মেট্রো পরিষেবা। এই সময়ের মধ্যে সকাল ৮টা থেকে ১১ টা এবং বিকেল ৪ থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মেট্রো চলবে ১০ মিনিট অন্তর। এছাড়া সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে এবং সন্ধা ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেট্রো চলবে ১৫ মিনিট অন্তর।
এছাড়া এখন প্রতিদিন ৫৫ জোড়া অর্থাত্ মোট ১১০টি মেট্রো চলবে। মাত্র এক তৃতীয়াংশ আসন নিয়েই চলবে মেট্রো। প্রতিটি স্টেশনে গাড়ি যথেষ্ট সময় দাঁড়াবে যাতে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং বজায় রেখেই ট্রেন থেকে ওঠা নামা করতে পারেন যাত্রীরা। তবে কোনও স্টেশন যদি কন্টেনমেন্ট জোনে থাকে, সেক্ষেত্রে কিন্তু ওই স্টেশনে মেট্রো দাঁড়াবে না। এবং এই করোনা আবহে যাত্রী ভিড় নিয়ন্ত্রণে কলকাতা পুলিশ এবং আরপিএফ যৌথ ভাবে নজরদারি চালাবে। যাত্রীসুরক্ষার কথা ভেবে প্রতি মেট্রো স্টেশনে বসানো হবে স্যানিটাইজেশন চ্যানেল।
করোনার সংক্রমণ রোধ করতে প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভিড় সামলানোর কথা ভেবেছে প্রশাসন। এবারে মেট্রো চালু হলে মেট্রোতে উঠতে লাগবে ই-পাস, স্মার্ট কার্ড ও কিউ আর কোড। কিন্তু যাত্রীরা পাবেন কীভাবে এই ই-পাস ? জানা যাচ্ছে প্রতি একঘণ্টার জন্য তৈরি করা হচ্ছে ই-পাস। এই ই-পাস কাটা যাবে মেট্রোর ওয়েবসাইট ও মেট্রোর নতুন অ্যাপ থেকে। এছাড়া রাজ্য পরিবহণ দফতরের পথদিশা অ্যাপ থেকেও কাটা যাবে। ই-পাস করানোর পর পাওয়া যেতে পারে নতুন স্মার্ট কার্ড।
এছাড়া অবশ্যই মেট্রো রেকের মধ্যেও বজায় রাখতে হবে সামাজিক দূরত্ব। প্রবেশ পথে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা হবে। প্রতিটি স্টেশনে করতে হবে যাত্রীদের থার্মাল স্ক্যানিং।যাত্রী এবং মেট্রো কর্মীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। মেট্রোর ভিতরে ৬ জনের সিটে ৩ জন করে বসতে পারবেন। এবং যে সব যাত্রীরা দাঁড়িয়ে থাকবেন তাঁদের মধ্যেও বজায় থাকতে হবে সামাজিক দূরত্ব।