অস্বস্তিজনক আবহাওয়ায় বাড়বে মানুষের অস্বস্তি, নেই ভারী বৃষ্টির দেখা বঙ্গে
নেই ভারী বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা, বাড়বে পারদের মান

দেবশ্রী কয়াল : আশঙ্কা করা হয়েছিল হয়ত পূজার প্রাক্কালে বা পূজার সময়ে বৃষ্টিতে ( Heavy Rain) ভিজবে বঙ্গ। তবে না আপাতত ভারী বৃষ্টির কোনো রকম সম্ভাবনা নেই বাংলাতে। যদিও দক্ষিণবঙ্গের দু-একটি জেলায় বজ্রবিদ্যুত্-সহ বিক্ষিপ্ত ভাবে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়ত হতে পারে। তবে তার জেরে তাপমাত্রার কিছু হেরফের হবে না। বরং বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় বাড়বে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। চরম আর্দ্রতার কারণে ভ্যাপসা-গুমোট গরমে দিনের বেলায় হাঁসফাঁস করবেন সাধারণ মানুষ, রীতিমত নাজেলা হতে হবে তাঁদেরকে।
আবহাওয়া দফতর (Metrological Department) তরফে জানা যাচ্ছে, বঙ্গোপসাগরে যে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল তা স্থলভাগে ঢুকে নিজের শক্তি হারিয়েছে। যদিও তেলেঙ্গানার উপর এখন সুস্পষ্টভাবে নিম্নচাপ অবস্থা করছে। ফলে গতকাল থেকে তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশে বিশেষ করে হায়দ্রাবাদে তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আজ সকালেও অনবরত ভাবে বৃষ্টি চলছে সেখানে। প্রবল বর্ষণের কারনে জলমগ্ন হয়েছে নিচু এলাকা। ডুবে গিয়েছে রাস্তাঘাট। কার্যত বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে এই নিম্নচাপ ক্রমশ কর্নাটক উপকূলের দিকে এগোচ্ছে। আগামী ১২ ঘণ্টায় নিজের অবস্থান পরিবর্তনের পাশাপাশি তার শক্তিও বাড়াবে এই নিম্নচাপ। অন্ধ্র, কেরল, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা উপকূল ছাড়াও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে মহারাষ্ট্র এবং গুজরাতে।
গতকাল থেকে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানায় যে হারে বৃষ্টি চলছে তাতে বেশ কিছু এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। কলকাতায় ( Kolkata)আজ আকাশ আংশিক মেঘলা। মাঝে মাঝে হাওয়াও দিচ্ছে। দু-এক পশলা বিক্ষিপ্ত হাল্কা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় সকাল থেকে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে চরমে। মাঝে মাঝে পারদের তাপমাত্রাও চড়ছে তরতরিয়ে।
আজ সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। গতকাল সন্ধ্যায় শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বোচ্চ ৯৬ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৫৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় বৃষ্টি হয়নি। মৌসম ভবন ( Mausam Bhavan) জানিয়েছে, মধ্য ভারত থেকে এখনও বিদায় নেয়নি বর্ষা। বাংলা থেকে বর্ষা বিদায় নিতে দেরি আছে।