তাঁতের শৈলীতে করোনা বুটি, তবে মিললনা আশানুরূপ ফল
দীর্ঘ অভিজ্ঞতার উপর ভরসা করেই বাঁচার তাগিদে শাড়িতে করোনা বুটি এনেছিলেন শান্তিপুরের সূত্রাগড় অঞ্চলের তাঁত ব্যবসায়ী অরুণ ঘোষ।

পল্লবী কুন্ডু : প্রত্যেক বছর ট্রেন্ডস হিসেবে সকলেই চায় রকম রকম নানান শৈলী। তবে নব শৈলী হিসেবে যে করোনা স্বয়ং আসতে পারে তা কখনো কল্পনাতেও আনতে পারেনি। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে ভালো কোনোকিছুই হওয়া অত্যন্ত কঠিন। সামনে বাঁধা হিসেবে দাঁড়াচ্ছে করোনা।কিন্তু সেই করোনা কে হাতিয়ার করেই কিভাবে এগোনো যায় তা নিয়েই চিন্তা-ভাবনা করেছিল কৃষ্ণনগরের তাঁত শিল্পীরা। উদ্ভাবন করেছিলেন করোনা বুটির শাড়ি। কিন্তু বাজার খারাপ থাকায় আশানুরূপ সাড়া মিললনা।
দীর্ঘ অভিজ্ঞতার উপর ভরসা করেই বাঁচার তাগিদে শাড়িতে করোনা বুটি এনেছিলেন শান্তিপুরের সূত্রাগড় অঞ্চলের তাঁত ব্যবসায়ী অরুণ ঘোষ।প্রত্যেক বছর পুজোতে একটা অভিনবত্ব দেখতে চান সকলেই সেই আশা নিয়েই কাজে নেমেছিলেন অরুন বাবু।তবে করোনার জেড়ে সমস্ত আশাতেই জল ঢেলেছে করোনা। বহু তাঁতি আছেন যারা আজ সকলেই কর্মহীন। পুজোর মরশুমেও বাজারে ভাটা। কপালে চিন্তার ভাঁজ।
এই করোনা বুটি শাড়ির বিষয়ে তাঁতি ব্যবসায়ী অরুন ঘোষ তাঁর কথায় বলেন,”এর আগে নানা সমসাময়িক ঘটনা শাড়ির গায়ে নকশার আকারে ফুটিয়ে তুলেছি আমরা। বেশ মনে পড়ে বেশ কিছু বছর আগে কলকাতার তিনশো বছর পূর্তি উপলক্ষে তাঁতের শাড়ির গায়ে বিশেষ নকশা করেছিলাম। তাতে শুধু আমি একা নই, ব্যবসায়িক সাফল্য এসেছিল এখানকার অনেকের ঘরেই।তবে এ বছর আমার তৈরি করোনা বুটির শাড়ি তিন মাসে বিক্রি হয়েছে মাত্র তিনশোটা। ছ’শো শাড়ি তৈরি করেছিলাম। এখনও তিনশো পিস ঘরেই পড়ে রয়েছে। করোনার কাছে হার মানতে বাধ্য হলাম এবার।”