করোনার আবহে শীতের ছুটির নির্জন আকর্ষণ হতে পারে চুপি চর !
অতিমারীর আতঙ্ককে দূরে ঠেলে 'থাকব না কো বদ্ধঘরে, দেখব এবার জগতটাকে" উপভোগ করে আসুন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে

চৈতালি বর্মন : পাহাড়, জঙ্গল, সমুদ্রে বিলাসী মন ভাসিয়ে দেওয়া আম বাঙালিদের জন্য সুখবর। শীতের আমজে ডানা ভাসিয়ে চুপি(Chupi)র চরে ভিড় করতে শুরু করেছে পরিযায়ী পাখিরা(Migratory birds)। এই তো সময়! গোছের ভাবনা নিয়ে যাঁরা কাছেপিঠে বেরিয়ে আসতে চান, তাঁদের কাছে বর্ধমানের চুপি চর আদর্শ স্থান হয়ে উঠতে পারে। শহরের কোলাহল ভুলে নিরিবিলিতে এক-দুই দিন থেকে আসা যায় পাখির দেশে।
কলকাতা(Kolkata) থেকে ১২১ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত পূর্বস্থলীর চুপি চর। মূল ভাগীরথী থেকে বিচ্ছিন্ন এই চর ছাড়ি গঙ্গা নামেও বিখ্যাত। গঙ্গার প্রবাহপথ পরিবর্তনের ফলে তৈরি হওয়া অশ্ব ক্ষুরের ন্যায় হ্রদেই নানা রঙ ও প্রজাতির পাখিদের সমাবেশ।কীভাবে পৌঁছবেন,শিয়ালদাহ থেকে বর্ধমান যাওয়ার মেইন লাইনের ট্রেন ধরে পূর্বস্থলী স্টেশনে পৌঁছতে হবে। সেখান থেকে রিক্স কিংবা টোটো-তে নিরিবিলি চুপি চরে ঢুঁ মারেন পর্যটকরা। সড়ক পথে অনেকে সরাসরি পৌঁছে যান পূর্বস্থলী।
স্থানীয়দের কথায়, শীত পড়লেই সুদূর হিমালয়, মঙ্গোলিয়া, এমনকী ইউরোপ থেকে নানা প্রজাতির পাখি চুপি চরে ভিড় জমায়। হেডেড সোয়ামপেন, গ্রে হিরন, মোরহেন, রাঙামুড়ি, কমনকুট, গার্ডওয়াল, লেজার হুইসলিং ডাক, পাইড কিংফিশারের মতো পক্ষীরা রয়েছে সেই তালিকায়। দুই থেকে তিন কিলোমিটার ব্যাপী ছড়িয়ে থাকা অশ্বক্ষুরাকৃতি জলাশয়ে ভেসে বেড়াতে দেখা যায় নানা প্রজাতির হাঁসও। কচুরিপানা এবং ঘাসের বনে ঘুরে বেড়ানো অন্যান্য প্রজাতির পাখিদের নাম হয়তো বলতে পারবেন না স্থানীয়রাই। ফলে দলে এক পক্ষী বিশেষজ্ঞ থাকলে মন্দ হয় না। নৌকায় চেপে জলে নেমে পড়লেই পাওয়া যাবে দারুণ সব ভিউ।কোথায় থাকবেন?চুপি চরে থাকার বিশেষ জায়গা নেই। নিকটস্থ কৃষ্ণনগর, মায়াপুর কিংবা নবদ্বীপে রাত কাটিয়ে এক বেলার জন্য পূর্বস্থলীতে ঘুরে যান পর্যটকরা।