বোনের রানীকে কি আটকে রাখা চাট্টিখানি কথা ! তার সৌন্দর্য প্রকৃতির বাসস্থানেই
দ্বার রক্ষীকে মেরে সঙ্গীকে নিয়ে পালানোর চেষ্টা পশুরানি সিংহীর

তিয়াসা মিত্র : জোরজবরদস্তি করে আর কতদিন কিছু করা যায়? একথা আমরা জানলেও তা আরো জোরালো ভাবে প্রমান করে দিলো বোনের রানী সিংহী। বেশ কয়েক বছর ধরে তাকে এবং তার সঙ্গীকে খাঁচা বন্দি করে রাখা হয় ইরাকের একটি চিড়িয়াখানাতে। মন থেকে মানতে পারেনি সে। খাঁচায় কত ক্ষণই বা মন টেকে! এ ভাবেই কেটেছে এক বছরেরও বেশি সময়। শেষ পর্যন্ত দ্বাররক্ষীকে মেরে সঙ্গীকে নিয়ে চম্পট পশুরানী।
বৈজ্ঞানিক গবেষণাতে বলা হয়, একজন পূর্ণ বয়স্ক সিংহ দিনে ১৬-১৮ ঘন্টা ঘুমিয়ে থাকে। কিন্তু একজন পূর্ণ বয়স্ক সিংহী দিনে তার অর্ধেক সময়ে ঘুমিয়ে থাকে। অর্থাৎ, সিংহের সেই বন্দি জীবনে কিছু পার্থক্য না হলেও পার্থক্য হয়েছে সেই সিংহীর। যার কারণে সারা দিন খাঁচার ভেতর থেকে তর্জনগর্জন-এ অতিষ্ট হয়ে থাকতো চিড়িয়াখানা এলাকা। কিন্তু তার এই জেডকে কি একটা রাখা অত সহজ?
এক দিন সুযোগ পেয়ে দ্বাররক্ষীর ঘাড়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে সে। থাবার অভিঘাতের অনিবার্য পরিণতি অনায়াস মৃত্যু। অতঃপর, ভিতরে ঘুমে কাদা সঙ্গীকে তুলে মুহূর্তে উধাও যুগলে। এইদিকে খাঁচা ভেঙে রক্ষীকে মেরে যুগলের পালানোর কথা শুনে সাহা শহর জুড়ে জারি হয়ে যায় লাল সতর্কতা। তাদের খোঁজার জন্য বেরিয়ে পরে বোন দপ্তর এবং পুলিশ বাহিনী। অনেক খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে আরাক শহরের একে বারে প্রান্তিক এলাকায় খোঁজ মেলে তাদের। আবার খাঁচাবন্দি হয় সিংহ যুগল।