করোনার সংক্রমণকে রোধ করতে, সম্পূর্ণ ৭ দিনের লকডাউনের পথে পূর্ব বর্ধমান
ক্রমশ বাড়ছে করোনা, তা ঠেকাতে সম্পূর্ণ লকডাউন ছাড়া নেই উপায়
দেবশ্রী কয়াল : পূর্ব বর্ধমানে ক্রমশ বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণ। তাই এবার আর সপ্তাহে মাত্র দুদিন লকডাউন না। করোনার সংক্রমণকে রোধ করতে, বর্ধমান পুরসভা এলাকার পর এবার মেমারি, কালনা ও কাটোয়া পুরসভা-সহ জেলার বেশ কয়েকটি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করল জেলা প্রশাসন। লকডাউন চলবে ২৯শে জুলাই পর্যন্ত।
পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন এখন জেলা প্রশাসন। এ পর্যন্ত এই জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫২৪। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২৮২ জন এবং চিকিত্সাধীন রয়েছেন ২৩৬ জন। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬ জন।
আর এই পরিস্থিতিতে বর্ধমান পুরসভা এলাকায় গত ২২ তারিখ থেকে ২৯ তারিখ পর্যন্ত অর্থাৎ ৭ দিনের জন্য সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু এখনও কিছু জায়গায় মানুষ সচেতন না। বের হচ্ছেন তাঁরা বাড়ি থেকে। তাই তাঁদের আটকাতে রাস্তায় নেমেছে পুলিশ। বিধিনিষেধ অমান্য করার অভিযোগে পুলিশ বেশ কয়েকজনকে আটকও করেছে এখনও পর্যন্ত। তবে সম্পূর্ণ লকডাউনের জেরে বর্ধমান পুরসভা এলাকার রাস্তাঘাট শুনশান, তেমন মানুষের দেখা নেই।
শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতীর স্বাক্ষরিত একটি নির্দেশিকায় জেলার বেশ কয়েকটি জায়গায় ২৯শে জুলাই পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এগুলি হল কাটোয়া, কালনা ও মেমারি পুর এলাকা এবং পূর্বস্থলী-১ পঞ্চায়েত সমিতির নসরতপুর, সমুদ্রগড় ও শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত, মেমারি-১ ব্লকের দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত, মেমারি-২ ব্লকের সাতগাছিয়া মোড়, সাতগাছিয়া বাজার ও লাগোয়া এলাকা আর বর্ধমান-১ ব্লকের সরাইটিকরি, রায়ান ও বেলকাশ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা।
তবে জরুরি পরিষেবা ও ওষুধের দোকানকে লকডাউন থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। এমনিতে ২৫ ও ২৯ জুলাই রাজ্য জুড়ে আগেই লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে পূর্ব বর্ধমানে এই সব এলাকা টানা ৭ দিন লকডাউনের আওতায় পড়ছে। লকডাউন বিধি কার্যকর করতে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে মাইক প্রচার শুরু হয়েছে। মানুষ যাতে সচেতন হন, এবং গুরুত্ব দিয়ে এই লকডাউন পালন করেন তাঁর জন্যই তাঁদের জানানো হচ্ছে অনুরোধ।