দেহ আড়াল করলেও বাতাসে গন্ধ রুখতে পারলোনা ছেলে, ফ্রেমবন্দি রবিনসন স্ট্রিটের ছবি
মায়ের মৃত্যুর পর তার সেই মৃতদেহ দিনের পর দিন লোকচক্ষুর আড়ালে রাখলো ছেলে।
পল্লবী কুন্ডু : ফের মা-এর মৃতদেহ(Dead Body) আগলে ছেলে। এ কথা শুনলেই সবার প্রথম যে চিত্র চোখের সামনে ভেসে ওঠে তা হলো রবিনসন স্ট্রিটের সেই ছবি। এবার সেই একই ঘটনার ছায়া বাঁশদ্রোণীর(Bansdroni) বিদ্যাসাগর পার্কে। মায়ের মৃত্যুর পর তার সেই মৃতদেহ দিনের পর দিন লোকচক্ষুর আড়ালে রাখলো ছেলে। দেহ আড়ালে থাকলেও সেই পচনের গন্ধ আটকে রাখতে পারলোনা ছেলে। সেই দুর্গন্ধ পাড়া-প্রতিবেশীদের নাকে পৌঁছতেই তাদের মধ্যে শুরু হয় এক চাপা উত্তেজনা।
দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেয় প্রতিবেশীরা। খবর পেয়েই বাঁশদ্রোণীর বিদ্যাসাগর পার্কের ওই বাড়িতে উপস্থিত হয় পুলিশ। আর তারপরেই দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় দেহ। এই বিষয় নিয়ে পুলিশের অনুমান, কয়েকদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে বৃদ্ধার। ইতিমধ্যেই দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। জানা যাচ্ছে, মা মারা যাওয়ার পর দেহের সত্কার করা তো দূরের কথা, কাউকে জানতেও দেননি ছেলে। মায়ের দেহের সঙ্গেই কাটিয়ে দিয়েছেন দিন-রাত। অবশেষে দেহে পচন ধরার গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে পাড়ায়।
জানা যাচ্ছে, বাঁশদ্রোণীর বিদ্যাসাগর পার্কের বাসিন্দা সত্তরোর্ধ্ব ওই বৃদ্ধা থাকতেন ছেলের সঙ্গেই। আজ সকালে দুর্গন্ধ পেয়ে ছেলের কাছে কারণ জানতে চান প্রতিবেশীরা। এরপরই ছেলে জানান ঘরে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে মা। এরপরই পুলিশ খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। কী কারণে মৃত্যু তা খতিয়ে দেখা হবে।গতকাল থেকে হালকা হালকা গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল, জিজ্ঞেস করায় সামনে আসে এই তথ্য। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলেই সামনে আসবে গোটা সত্য।