নিজেদের অসুবিধার কথা কাউন্সিলরকে জানাতেই পরিণতি হল জনপ্রকাশে পা ধরে ক্ষমা চাওয়া

প্রকাশ্যে পা ধরে ক্ষমা চাওয়ালেন মালদা জেলার সদর শহর ইংরেজবাজার পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর পরিতোষ চৌধুরীর।

পল্লবী কুন্ডু : শুধুই কি রাজনৈতিক আক্রোশ নাকি কোনো ব্যক্তিগত মনোমালিন্যের জেরেই এমন করলেন।’এলাকায় ময়লা জমেছে। অথচ এলাকারই পুর প্রতিনিধির কোনও হুঁশ নেই।’ এমনই অভিযোগ সোশ্যাল সাইটে করেছিলেন এক কলেজ ছাত্রী। আর সেই কারণেই তাকে প্রকাশ্যে পা ধরে ক্ষমা চাওয়ালেন মালদা জেলার সদর শহর ইংরেজবাজার পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর পরিতোষ চৌধুরী । কিন্তু কেন এমন করলেন তিনি ? নিজেদের অসুবিধার কথা কাউন্সিলরকে জানানোটাই কি অপরাধ তাদের ?

জানা গিয়েছে, স্থানীয় ওই ছাত্রী অভিযোগ করেন মাসখানেক ধরেই, তাদের এলাকায় ময়লার জল জমে রয়েছে। দুর্বিষহ হয়ে গেছে বসবাস করা। বারবার কাউন্সিলরকে জানিয়েও কোনও লাভ না হওয়ায় তিনি সোশ্যাল সাইটে কাউন্সিলরকে অভিযুক্ত করে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আনেন। আর তারপরেই কাউন্সিলর সদলবলে ওই মেয়েটির বাড়িতে চড়াও হয়। প্রথমে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়। প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে তাঁদের এলাকায় বসবাস করতে দেওয়া হবে না। বাধ্য হয়ে ওই যুবতী রাস্তার ওপর তাঁর কাছে ক্ষমা চায়। এরপরই সে ইংরেজবাজার থানায় ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

তারপরেই পাল্টা অভিযোগ হানে সেই কাউন্সিলর। তিনি সেই অভিযোগকে বেমালুম অস্বীকার করেন। উল্টে নিজে অভিযোগ তুলেছেন, তাঁকে কলুষিত করার জন্যই নাকি তাঁর বিরোধীরা চক্রান্ত করে ওই যুবতীকে ব্যবহার করে তাঁর নামে কুত্‍সা রটাচ্ছে। তিনিও ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইমে অভিযোগও জানিয়েছেন। বিদায়ী কাউন্সিলর পরিতোষ চৌধুরী বলেন, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। বিরোধীরা চক্রান্ত করে ওই যুবতীকে ব্যবহার করে তাঁর নামে সোশ্যাল সাইটে কুত্‍সা করেছে। তিনি কেবল এর প্রতিবাদ করেছেন। এই কারণেই তার নামে এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।

এই সম্পূর্ণ ঘটনাকে ঘিরে এলাকাবাসীর মধ্যে একটা চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। তারাও অভিযোগ প্রকাশ করছেন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে।

Exit mobile version