এক নজরে মেদিনীপুরের সভার সাত – সতেরো, কি বলছেন মুখ্যমন্ত্রী?
লড়াইয়ের আভাস তার কথাতে স্পষ্ট, দলের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা এই সভাতে

পৃথা কাঞ্জিলাল : শুভেন্দু অধিকারীর (Subhendu Adhikari) অবস্থান নিয়ে জল্পনার মধ্যেই আজ অর্থাৎ সোমবার মেদিনীপুরে (Medinipur) জনসভা তৃণমূল (Tmc) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। এ দিনের জনসভায় উপস্থিত ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, পূর্ণেন্দু বসু, মানস ভুঁইয়া, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং ছত্রধর মাহাতোও। সভায় ছত্রধরের উপস্থিতি রাজনৈতিক ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
এ দিনের সভা থেকে দলনেত্রী বক্তব্য রেখেছেন ইতিমধ্যেই এবং তাঁর দিকেই তাকিয়ে আপামোর জনতা। পাশাপাশি, শুভেন্দুকে ঘিরে গুঞ্জনের মধ্যে তৃণমূল নেত্রীর এই সভা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কাছেও আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। বেলা ১২টা নাগাদ শহরের কলেজ মাঠে জনসভা। গত কালই রাতে মেদিনীপুর শহরের সার্কিট হাউসে পৌঁছন মমতা। সেখান থেকে জনসভায় যোগ দিয়েছেন তিনি। তাঁর এই সফর ঘিরে মেদিনীপুর শহর মুড়ে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে। মেদিনীপুরের এই সমাবেশ যেন দ্বিতীয় ব্রিগেড, বললেন মমতা। তিনি ও বলেছেন আমরা কৃষকদের পাশে ছিলাম, আছি, থাকব, মেদিনীপুর থেকে দিল্লির কৃষকদের বার্তা মমতার। তিনি এও বলেন আমি সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম, নেতাই ভুলিনি, বললেন মমতা। কাল ব্লকে ব্লকে ধরনা কর্মসূচি চলবে। এছাড়াও সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপিকে একাসনে বসিয়ে আক্রমণ করেন তিনি , কটাক্ষ করে বলেছেন “বাংলা গুজরাট হতে দেবোনা” শেষ অবদি ও তাঁর কথাতে লড়াইয়ের আভাস এ স্পষ্ট এবং “একুশে আসছি আমরাই” এই স্লোগান দিয়ে এ শেষ করেছেন বক্তব্য।
দলের পক্ষ থেকে মেদিনীপুর শহরের বিভিন্ন রাস্তা সাজানো হয়েছে দলীয় পতাকা দিয়ে। সঙ্গে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিও। এই আবহেই আজ মেদিনীপুর শহরে শুভেন্দুর ছবি দেওয়া ফ্লেক্সও নজরে এসেছে। তাতে লেখা, ‘‘মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র শ্রী শুভেন্দু অধিকারী’’। যেখানে তৃণমূলের তরফে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগানো হয়েছে তার সামনে এবং পিছনে লাগানো হয়েছে ওই ফ্লেক্স। এই ঘটনায় শুভেন্দুকে ঘিরে তৈরি হওয়া গুঞ্জন আরও গতি পেয়েছে। আজকের এই সভাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের ওপর নির্ভর করছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দলের পরবর্তী পদক্ষেপ। তাঁর আজকের বক্তব্য ঘিরে রয়েছে অনেক জল্পনা।