অতিমারী আবহে বাণী বন্দনা, সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তিত চিকিৎসকেরা
"মাস্ককে নিজের সঙ্গী করে নেওয়া দরকার" - চিকিৎসক মন্ডলী
তিয়াসা মিত্র : সকাল থেকে রাস্তাতে দেখা যাচ্ছে হলুদ শাড়ী এবং পাঞ্জাবির মেলা। স্কুল, কলেজ এবং নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলছে বাগ্দেবীর আরাধনা। এবং তারই সাথে বন্ধুদের সাথে সকাল থেকেই প্ল্যান এবং সেই প্ল্যানের সাথেই থাকবে দুপুরে বাইরে ভুরিভোজ। সব মিলিয়েই তরুণদের দল এবং যুগলের দল নিজেদের গা ভাসিয়েছে বাঙালির ভ্যালেন্টাইন দিবসে। কিন্তু করোনা বিপদ এখনো যায়নি এ কোথাও সত্যি আমাদের কাছে।
কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাতে অনেক শিথিল হয়েছে কড়াকড়ি। খুলে দেওয়ার হয়েছে অনেকাংশে পর্যটন স্থান। কলকাতা হোক কিংবা কলকাতার বাইরে জমেছে ভিড়। সপ্তাহ শেষে বাঙালির আনন্দ যেন আকাশচুম্বি। প্রজন্ম বদলের সাথে সাথে মানুষের আনন্দ করার ফ্যাশন বদলেছে বহু ক্ষত্রে কিন্তু , আভিজাত্য রয়েছে ঠিক প্রথমের মতনই। শপিং মল, ভিক্টোরিয়া , রবীন্দ্রাসারবার লেক নানা স্থানে হয়েছে এক দোল সবুজদের ভিড়। যা সত্যি নজর কারা। কিন্তু চিকিৎসকেরা রয়েছেন একটু চিন্তাতে, কয়েকদিন আগেই ২৫-সে ডিসেম্বরের মাশুল গুনতে হচ্ছে আমাদের। আবারো না এই উৎসবের জন্য গুনতে হয় মাশুল।
সেই জন্য চিকিৎসকেরা সবার উদ্দেশে দিচ্ছেন পরামর্শ। মাস্ককে নিজের সঙ্গী করে নেওয়া যেন কাঁধ ছাড়া না হয় সাথে রাখতে হবে স্যানিটাইজার। তবে এই পরিস্থিতিতে কতটা সামাজিক দূরত্ব রাখা সম্ভব তা সত্যি চিন্তার বিষয়ে চিকিৎসক মন্ডলীর কাছে। তাই আনন্দ উৎসব বার বার করা যাবে যদি করোনা প্রোটোকল ঠিক মতন মেনে চলা যায়। এরই সাথে রাস্তাতে তৎপর পুলিশ- বেশি জমায়েত হলে সেখানে তৎপরতার সাথে স্থান ফাঁকা করছেন প্রথম সারির সৈন্যরা।