বাঁধা-বিপর্যয়কে জয় করে শুরু হলো গিরিরাজ গোবর্ধন পূজা
বাঁধা-বিপর্যয়কে জয় করে শুরু হলো গিরিরাজ গোবর্ধন পূজা

পল্লবী কুন্ডু : গতকাল সোমবার ছিল একটি ভীষণ শুভ দিন। প্রথমত সোমবারকে আমরা মহাদেবের দিন হিসেবেই মানি। তারপর গতকাল ছিল ভাইফোঁটা আর তারও সাথে ছিল কার্তিক পুজো। আর ভাতৃদ্বিতীয়ার এই শুভলগ্নেই গতকাল সোমবার সকাল থেকেই নদিয়ার মায়াপুর ইসকন মন্দিরে (Mayapur ISKCON Temple) মহাসমারোহে শুরু হলো গিরিরাজ গোবর্ধন পূজা (Govardhan Puja) ।
পাশাপাশি এদিন মন্দির প্রাঙ্গণে গো পূজা ও গো ক্রীয়া পালন করা হয় শাস্ত্রীয় মত অনুসরণ করে। বর্তমান এই করোনা পরিস্থিতিতে এই বছর সম্পূর্ণভাবে সরকারি নির্দেশ কে মান্যতা দিয়ে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহারের করেই গিরিরাজ গোবর্ধন পূজা দর্শন করার জন্য মাত্র একশো জন করে দর্শনার্থী প্রবেশ করানো হয় মন্দির প্রাঙ্গণে। এমনটাই জানান ইসকন জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস।
এছাড়াও এদিন সন্ধ্যায় মন্দির প্রাঙ্গণে গিরিরাজকে দীপ দান করে মন্দির প্রাঙ্গণে প্রদক্ষিণ করানো হবে বলেও জানান ইসকন জনসংযোগ আধিকারিক। অন্যান্য বছর গুলোতে প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা থাকলেও এই বছর সুরক্ষার খাতিরে যতটা সম্ভব এই প্রসাদ বিতরণী থেকে ব্যাহত থাকার চেষ্টা করেছে কর্তৃপক্ষ।
শ্রী কৃষ্ণ এই সংসারকে প্রেম শেখাতে এসেছিলেন। আর তিনিই সংসারকে শেখান যে নিজের ভক্তি এবং বিশ্বাসের দ্বারা পাথরেও কিভাবে প্রাণ দান করা সম্ভব। তারই এক উদাহরণ ছিল এই গোবর্ধন পর্বত। বৃন্দাবন এবং বর্ৎসনাবাসীকে দেবরাজ ইন্দ্রের ক্ষোভ থেকে রক্ষা করেছিল গোবর্ধন পর্বত, এমনটাই মানতেন বৃন্দাবন এবং বর্ৎসনাবাসী তবে আদতে তা ছিল শ্রী কৃষ্ণের লীলা। আর সেই মুহূর্ত থেকে আজও গোবর্ধন পুজোর এই রীতি অব্যাহত।