একের পর এক ভূমিকম্প, কেমন আছেন মানুষগুলি ?
মিজোরামে পরপর ভূমিকম্পে আতঙ্কে ছড়িয়েছে রাজ্যবাসীদের মধ্যে।
পল্লবী কুন্ডু : ফের ভূমিকম্প। শেষ সপ্তাহ থেকেই একের পর এক ভূমিকম্প আতঙ্ক। উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতেও একাধিক ভূমিকম্প হয়েছে। মিজোরামে পরপর ভূমিকম্পে আতঙ্কে রয়েছেন সেখানকার সাধারণ মানুষ। সরকারি তথ্য অনুসারে জুন মাসের ১৮ তারিখের পর থেকে চম্ফাই, সাইতুয়াল, সিয়াহা ও সেরচিপ গ্রামে পরপর ২২টি আলাদা আলাদা কম্পন হয়েছে। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.২ থেকে ৫.৫ পর্যন্ত। এর মধ্যে চম্ফাইতেই সবচেয়ে বেশিবার ভূমিকম্প হয়েছে। এই জেলার ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছে, অনেকের জন্যই এই তাঁবুর ব্যবস্থা করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। সেখানে ত্রিপল, জলের বড় পাত্র, সোলার ল্যাম্প, চিকিত্সার প্রাথমিক ওষুধ পত্রও দেওয়া হয়েছে।ফলত প্রাণের ভয়ে এই মুহূর্তে নিজেদের ঘর বাড়ি ফেলে বেশিরভাগ মানুষেরই ঠিকানা হয়েছে তাঁবু।
তিনি আরো জানিয়েছেন, ২২টি ভূমিকম্পের মধ্যে ২০টি চম্ফাই জেলাকে ঘিরে। এই কারণে এখনও ১৬ জন গ্রামবাসী আহত হয়েছে। নষ্ট হয়েছে প্রায় ১৭০টি বাড়ি। পাঁচটি আলাদা আলাদা ক্যাম্প তৈরি হয়েছে এই অসহায় মানুষগুলির জন্য।এবং [পাশাপাশি এই মানুষ গুলোর খাওয়া থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যের দায়িত্ব নিয়েছে সরকার নিজেই। এই সপ্তাহেই মিজোরাম সরকারের পক্ষ থেকে একটি চিকিত্সকের দল পাঠানো হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত-দের কাছে সেখানে তাদের স্বাস্থ্যের দিকেই আলোকপাত করছে সরকার। সেই আশ্রয় শিবিরের মানুষদের পরীক্ষা করে দেখছেন।
পাশাপাশি সাহায্য নেওয়া হচ্ছে মনোবিদদেরও। কারণ, অনেকেই ভূমিকম্পের আতঙ্কে এখনও আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে রয়েছেন। তাঁদের ভয় কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা দরকার বলেই লড়াই চালাচ্ছেন চিকিত্সকরা।অনেক মানুষই ইতিমধ্যে হারিয়েছেন নিজেদের ঘরবাড়ি। সেই গৃহহীন মানুষ গুলির একমাত্র ভরসা হল সরকার। এক অজানা ভবিষ্যৎ কে সাথে নিয়েই পথ চলছে মানুষগুলি।