কিংবদন্তি মিলখা মিলখা সিং শেষ দৌড় অচিন দেশের উদ্দেশ্যে !
চিরঘুমের দেশে মিলখা সিং , ৪ বারের এশিয়ান গেমসের সেরা দৌড়বিদের শেষ দৌড় , শোকাহত সমগ্রদেশের সাধারণ মানুষ থেকে ক্রীড়াবিদ
নিজস্ব সংবাদদাতা : শৈশব থেকেই খেলার প্রতি তাঁর ছিল অদম্য ঝোঁক। সেই ভালোবাসাই তাঁকে করেছিল ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের অবিসংবাদিত নায়ক। এশিয়ান গেমসের স্প্রিন্ট ইভেন্টে চারবারের সোনাজয়ী তিনি। ১৯৫৮ সালে জিতেছেন কমনওয়েলথ গেমসের সোনাও। দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনটি ওলিম্পিক গেমসে। যার মধ্যে ১৯৬০ সালের রোম ওলিম্পিকসে তাঁকে থেকে যেতে হয়েছিল ট্র্যাজিক হিরো হিসেবে। ৪০০ মিটারের ফাইনালে সেকেণ্ডের ভগ্নাংশে ব্রোঞ্জ হাতছাড়া হয়েছিল মিলখার। তাঁর মৃত্যুতে ক্রীড়ামহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।গত মাসেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন ফ্লাইং শিখ মিলখা। পরে তার স্ত্রী নির্মল কাউরও করোনায় আক্রান্ত হন। প্রায় তিন সপ্তাহ করোনার সঙ্গে লড়াই করার পর মারা যান মিলখা সিংয়ের স্ত্রী। এর সপ্তাহের মধ্যেই মারা যান কিংবদন্তি অ্যাথলিটের।
জানা গেছে, কোভিড থেকে সুস্থ হওয়ার পর বুধবার পর্যন্ত মিলখা সিংকে নন-কোভিড মেডিকেল ইনটেসিভ কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছিল। চিকিৎসকরা তাকে বিশেষ নজর দিয়ে রেখেছিলেন। জ্বর কমলেও বৃহস্পতিবার রাত থেকেই মিলখা সিংয়ের অক্সিজেন লেভেল কমতে শুরু করে। শুক্রবার সন্ধ্যার শারীরিক অবস্থা সংকটজনক হয়ে দাঁড়ায়।
মিলখা সিংয়ের পরিবার বলছে, ‘তিনি (মিলখা সিং) লড়াই করছিলেন কিন্তু তিনিও চলে গেলেন। মায়ের চলে যাওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে তার টানেও বাবাও আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন।’
এক টুইট বার্তায় মোদি লেখেন, ‘মিলখা সিংয়ের প্রয়াণে আমরা এক বিশাল ক্রীড়াবিদকে হারালাম, যিনি দেশের স্বপ্নকে ধরতে পেরেছিলেন। অগণিত ভারতীয়দের হৃদয়ে বিশেষ স্থান অধিকার করেছিলেন তিনি। তার ব্যক্তিত্ব তাকে কোটি কোটি মানুষের মনে জায়গা করে দিয়েছিল। তার প্রয়াণে গভীর শোকাহত।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘মিলখা সিংয়ের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ। তিনি একজন কিংবদন্তি ক্রীড়াবিদ ছিলেন। তিনি সব সময় আমাদের হৃদয়ে থাকবেন। তার পরিবার, প্রিয়জন ও ভক্তদের সমবেদনা জানাই।’