শাহীন বাগ আন্দোলন নিয়ে এবার মত প্রকাশ সুপ্রিম কোর্ট-এর
পাবলিক প্লেস আটকে প্রতিবাদ নয়। প্রতিবাদ-বিক্ষোভের জন্য নির্ধারিত স্থানেই তা চালাতে হবে। শাহিন বাগ প্রতিবাদ নিয়ে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।

পল্লবী কুন্ডু : করোনা পরিস্থিতির বহু আগে থেকেই চলে আসছে শাহিন বাগ-এর আন্দোলন। পরবর্তী পরিস্থিতিতে অতিমারীর জেরে প্রশাসনের সাহায্য নিয়েই আন্দোলন তোলা হয়। তবে ইতিমধ্যেই করোনা বাঁধন হালকা হতেই আবারো শুরু হয়ে গিয়েছে তাদের দাবির লড়াই। এবার তা নিয়েই সজাগ হয়েছে প্রশাসন।দীর্ঘদিন ধরে পাবলিক প্লেস আটকে প্রতিবাদ নয়। প্রতিবাদ-বিক্ষোভের জন্য নির্ধারিত স্থানেই তা চালাতে হবে। শাহিন বাগ প্রতিবাদ নিয়ে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে আইনজীবী অমিত সাহানি শাহিন বাগের রাস্তা অবরোধ তোলার দাবি জানিয়ে পিটিশন দাখিল করেছিলেন। সেই পিটিশনের শুনানিতেই বুধবার এই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত আরও জানাল, রাস্তা আটকে রাখা ব্লকেড সরানোর দায়িত্ব প্রশাসনেরই। তারা তা করছে না বলেই সুপ্রিম কোর্টকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে হল। বিচারপতি এস কে কৌল, কৃষ্ণ মুরারি, ঋষিকেশ রায়ের বেঞ্চ জানাল, ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য পাবলিক প্লেস দখল করা যাবে না। বিরোধ এবং গণতন্ত্র হাত ধরাধরি করে চলে, কিন্তু প্রতিবাদ নির্ধারিত স্থানেই করতে হবে। প্রতিবাদের জন্য পাবলিক প্লেস দখল মানা যায় না।’
১২ ডিসেম্বর পাশ হয় সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল।তারপরেই আইনে পরিণত হয় সেই বিলটি। দেশজুড়ে প্রতিবাদ আরও জোরালো হয়।১৫ ডিসেম্বর দিল্লির শাহিন বাগে শুরু হয় অবস্থান বিক্ষোভ। সামনের সারিতে ছিলেন মহিলারাই। ১০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে চলে বিক্ষোভ। করোনা বিধির কারণে ২৩ মার্চ সেই অবস্থান তুলে দেওয়া হয় এবং তারপরেই ২১ সেপ্টেম্বর মামলার শুনানি ছিল। সেদিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, নাগরিকদের প্রতিবাদের অধিকার এবং রাস্তা ব্যবহারের অধিকারের মধ্যে ভারসাম্য থাকা দরকার। সরকারি আইনজীবী তুষার মেহতা জানিয়েছিলেন, প্রতিবাদ করা নাগরিকদের প্রাথমিক অধিকার। কিন্তু তাতেও যুক্তিগত নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত।