‘জেপি নাড্ডা এসে ডায়মন্ড হারবারে গিয়ে গাড্ডায় পড়েছে’, বাংলার রাজনৈতিক দাঙ্গার আগুনের আঁচ অভিষেকের দিল্লির বাড়িতে
দিল্লিতে বঙ্গভবনের সামনে মুর্দাবাদ শ্লোগান দেওয়া হয়, উঠছে অভিযোগ

পল্লবী কুন্ডু : সংশ্লিষ্ট ঘটনার পরে বিজেপি কর্মী সমর্থক মহলে এখন একটাই রব,’এতো হওয়ারই ছিল’। বৃহস্পতিবার ডায়মন্ডহারবার যাওয়ার পথে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা(J. P. Nadda)র গাড়ি এবং গোটা কনভয় জুড়ে যে হামলার ঘটনা ঘটে তার প্রতিফল স্বরূপই বৃহস্পতিবার রাতেই দিল্লিতে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)র বাড়িতে চড়াও হয় একদল যুবক। জানা গিয়েছে, তারা রীতিমতো মুর্দাবাদ শ্লোগান দিতে দিতে অভিষেকের দিল্লির বাড়ির দেওয়ালে কালো কালি লেপে দেয়। বাংলার রাজনৈতিক দাঙ্গার আগুনের আঁচ দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানী দিল্লিতেও।
দিল্লিতে অভিষেকের বাড়ির ঘটনার পরেই তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির কর্মী সমর্থকরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। গতকাল রাত ৯ টা নাগাদ দিল্লিতে বঙ্গভবনের সামনেও মুর্দাবাদ শ্লোগান দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। জানা যাচ্ছে, সেই সময় খানিক ভয়েই বঙ্গভবনের নিরাপত্তারক্ষীরা গেট বন্ধ করে দেন। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার মেয়োরোডের সভা থেকে বলেন, চাড্ডা, নাড্ডা, ফাড্ডা, ভাড্ডা প্রতিদিন আসছে। হোম মিনিস্টার আসছে। নিজেরা ন্যাশানাল টিভিতে পাবলিসিটি পেতে এসব করছে। ১ জনের সঙ্গে কেন ৫০ টা গাড়ি যাবে? কি করে ভিডিও তোলা হলো? তৃণমূল যেমন এই ঘটনা থেকে নিজেদের দিকে ওঠা আঙ্গুল ঘোরাতে না যুক্তি খাড়া করছে তেমনি বিজেপিও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলকে চাপে ফেলার পন্থা নিতে ছাড়ছে না। ফলে রাজ্য ছাড়িয়ে এই ঘটনার রেশ যাতে জাতীয় স্তরে ছড়িয়ে পড়ে তার জন্য ততপর বিজেপিও। রাজনৈতিক মহলের ধারনা, দিল্লিতে অভিষের বাড়িতে কালি দেওয়ার মাধ্যমে নাড্ডার কনভয়ে হামলায় যে তৃণমূল দায়ি সেই বার্তাকেই প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করা হলো।
এদিকে দিল্লির ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, এই ঘটনার পিছনে কেন্দ্রের শাসক দলের হাত রয়েছে। অন্ন্যদিকে সৌগত রায়ের মন্তব্যের পালটা হিসাবে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, একেই বলে ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। তৃণমূল কংগ্রেস সারা দেশের গায়ে কালি লাগিয়েছে তাই এখন নিজেদের ঘরে কালি লাগছে।
তবে গতকালের কনভয় হামলার এই ঘটনা বিজেপি যে হালকা ছলে নেবে না তা রাতের কালি লেপনের ঘটনাই স্পষ্ট ভাবে প্রমান করে। যদিও বিজেপি জড়িত না থাকলেও যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা যে নাড্ডার কনভয়ের উপর আক্রমণকে ভালো চোখে দেখছেন না তাও স্পষ্ট। বৃহস্পতিবার বাংলায় অভিষেকের নির্বাচনী কেন্দ্র ডায়মন্ডহার যাওয়ার পথেই আক্রান্ত হন জেপি নাড্ডার কনভয়। তারপর থেকেই রাজ্য রাজনীতির হাওয়া গরম হতে শুরু করে। তৃণমূল এবং বিজেপি একে অপরকে বিঁধতে থাকে বাক্যবানে।