পরকীয়া সম্পর্কের জেরেই স্বামীকে খুনের অভিযোগের আঙ্গুল স্ত্রী-এর দিকে
সিপাহিজলা জেলায় স্ত্রী-র বিরুদ্ধে স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে।

পল্লবী কুন্ডু : সময় বদলালেও একাধিক ক্ষেত্রেই এখনো কোনোরূপ বদল ঘটেনি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির, বদল ঘটেনি মানুষের চিন্তা ধারার। তবে এক্ষেত্রে বিষয়টা একটু ভিন্ন। স্ত্রী-র বিরুদ্ধে স্বামীকে খুনের(murder) অভিযোগ উঠেছে। সিপাহিজলা জেলার বিশালগড় থানাধীন গকুলনগর ভৌমিকপাড়ায় সংগঠিত এলাকার ঘটনা। পরকীয়া সম্পর্কের জেরেই এই পরিণতি, দাবি করছে এলাকাবাসী। অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই পুলিশ মৃতের পরিবার এবং এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে স্ত্রী-কে গ্রেফতার করেছে। এলাকাবাসী মৃতের শ্বশুর ও শাশুড়িকেও গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার রাতে দীপঙ্করকে ঘরের মধ্যেই অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা হাঁপানিয়ায় ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় মৃতের মা জানিয়েছেন, প্রায় পুত্রবধূ অনামিকা তাঁর ছেলেকে মারধর করতেন। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া প্রায় লেগেই থাকত। মৃতের মা অভিযোগ করে বলেন, তাঁর পুত্রবধূ দুবার স্বামীর মাথা ফাটিয়েছেন এবং একবার দাঁত ভেঙে দিয়েছেন। গতকাল রাতেও তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। তখন তাঁর দীপঙ্করকে অনামিকা খুন করেছে।ঠিক এমনই অভিযোগ আনছেন ওই মৃতের মা। পাশাপাশি একই অভিযোগ উঠছে পাড়া-প্রতিবেশীদের তরফ থেকেও।
তবে অন্যদিকে, স্বামী খুনের অভিযুক্ত স্ত্রী অনামিকা জানিয়েছেন, গতকাল রাতে আহারের পর ঘরে ফিরে দেখেন দীপঙ্কর গলায় গামছা জড়িয়ে ঝুলে রয়েছেন। তখন স্বামীর গলা থেকে গামছা খুলে খাটে শুয়ে দিয়েছিলেন তিনি। অনামিকার দাবি, পরিবারের সকলে এসে তাকে এই অবস্থায় দেখে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু, তার মৃত্যু কীভাবে এবং কী কারণে হয়েছে তা বুঝতে পারছেন না। ইতিমধ্যেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশালগড় থানার পুলিশ অভিযুক্ত স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই সন্দেহের মেঘ কাটবে বলে আশা পুলিশের। এই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে।