বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠা দিবস অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এবার আবারো একই মঞ্চে ‘মোদী-মমতা’
বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিশ্বভারতীর আচার্য তথা ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পাশাপাশি আমন্ত্রিত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

পল্লবী কুন্ডু : করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই গতকাল বৈঠকের পর শান্তিনিকেতনে পৌষ মেলা(Santiniketan Poush Mela) বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তবে সমস্ত নিয়ম মেনে পৌষ উৎসব পালনে কোনো বাঁধা নেই। অন্যদিকে, বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুত্ চক্রবর্তী ও বিভিন্ন ভবনের অধ্যক্ষ, কর্মী পরিষদ একত্রিত সিদ্ধান্ত হয় এ বছর পৌষ মেলা বন্ধ থাকলেও প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান ও পৌষ উত্সব এর সমস্ত অনুষ্ঠান-ই করবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৬ পৌষ সন্ধ্যায় বৈতালিক এর মাধ্যমে শুরু হবে পৌষ উত্সব রীতি মেনে ৭ পৌষ ভোরে বৈতালিক এবং সকাল সাতটায় ছাতিমতলা উপাসনার মধ্যে দিয়ে শুরু হয়ে যাবে এবছরের পৌষ উত্সব।
পাশাপাশি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ আরো জানিয়েছে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা যেহেতু কম তাই যেসমস্ত ছাত্রছাত্রীরা প্রত্যেকবার পৌষ উত্সবে রবীন্দ্র সংগীত গানের অংশ নিয়ে থাকে বা সংগীত ভবন অংশ নিয়ে থাকে এ বছর তারা অংশ নিতে পারবে ভবনের অধ্যক্ষ সঙ্গে বৈঠক করেই তারা ঠিক করবে। ৮ পৌষ বিশ্বভারতীর বা শান্তিনিকেতনের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান, এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিশ্বভারতীর আচার্য তথা ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi)কে পাশাপাশি আমন্ত্রিত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। অবশ্য, দুই পক্ষ থেকেই এখনো পর্যন্ত আসার কোন সদুত্তর চিঠি এসে পৌঁছায়নি বিশ্বভারতীতে।
পাশাপাশি এই অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের মন্ত্রী, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জাগদীপ ধনখর, তারা চিঠি মারফত বিশ্বভারতী কে জানিয়েছে ১০০ বছরের বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে তারা উপস্থিত থাকবে। যদি ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আসেন তবে আবারো একই মঞ্চে দেখা মিলবে এই দুই প্রধানের। এর আগে ২০১৭ সালের মে মাসে বিশ্বভারতীতে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন দুই বিরোধী মুখ পাশাপাশি এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারণ সেইদিনই বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন হয় শান্তিনিকেতনে। তবে এবার দুই বিরোধী দলপ্রধানের সাক্ষাৎ কিরূপ হতে চলেছে সে দিকেই তাকিয়ে বাংলা। উল্লেখ্য, জে পি নাড্ডা কনভয় হামলার ঘটনাকে ঘিরে তৃণমূল এবং বিজেপি পরস্পরের সম্পর্কের উষ্ণতা ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী।