বিশেষ ব্যবস্থা রাজ্য সরকারের তরফে, নিট পরীক্ষার্থীদের জন্যে
রাস্তায় যাতায়াতের হবে না কোনো অসুবিধা, বাস-মেট্রো সবই রয়েছে হাজির
দেবশ্রী কয়াল : রাত পোহালেই আগামীকাল রবিবার ১৩ই সেপ্টম্বর নিট পরীক্ষা। এবং পরীক্ষার দিন ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে যাতে কোনো রকম অসুবিধা না হয় সেই জন্যে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য সরকার। পরীক্ষার দিন, ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের যাতায়াতের জন্য মোট ৭৪টি মেট্রো চলবে। নোয়াপাড়া থেকে কবি সুভাষের মধ্যে চলবে মেট্রো। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলবে মেট্রো। এছাড়াও চলবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর চলবে ট্রেন। আর তার জন্যে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে পেপার কার্ড টিকিট ছাপানোর কাজ। রবিবার স্মার্ট কার্ড ছাড়াও পেপার টিকিট ইস্যু করা হবে মেট্রোর যাত্রীদের জন্যে।
আগামীকাল পড়ুয়াদের এবং তাঁদের অভিভাবকদের জন্যে বিশেষ করে চলবে মেট্রো, এবং সোমবার থেকে সকলের জন্যে খুলে যাচ্ছে মেট্রোর দ্বার। তার জন্যে গতকাল শুক্রবার থেকেই শুরু হয়ে গেছে বিভিন্ন স্টেশনে তদারকির কাজ। প্রতি স্টেশনে আর পি এফ কর্মী কোথায় কত সংখ্যক মোতায়েন থাকবেন। তাদের দায়িত্ব কতটা থাকবে, তা তাদের পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু সোমবার থেকেই যাত্রী পরিষেবা চালু হয়ে যাচ্ছে, তাই রেক ও স্টেশন স্যানিটাইজ করা হচ্ছে ভালো করে। নিট পরীক্ষার দিনে এই স্পেশাল ট্রেন চালানো আসলে যাত্রী পরিষেবা চালুর আগে অন্যতম ডেমো বা ট্রায়াল রান হয়ে যাবে।
এছাড়া মেট্রোর পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার জন্যে বিশেষ বাসের ব্যবস্থাও রাখছে রাজ্য। আজ রাত থেকেই দুরপাল্লার বাস পাওয়া যাবে যথাযথ ভাবে। সূত্রের খবর, রবিবার প্রায় ১৫০০ বাস চালাবে রাজ্য পরিবহন নিগম। প্রায় ৮৫০ বাস চালাবে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম বাস চালাবে প্রায় ৫০০ কাছাকাছি। পরীক্ষার আগের দিন যাতে পড়ুয়াদের যাতায়াতের কারনে নাজেহাল না হতে হয় সেই জন্যে আজকের লকডাউনও প্রত্যাহার করে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
কলকাতা ছাড়াও কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, শিলিগুড়ি, রায়গঞ্জ, বালুরঘাট, মালদা, বহরমপুর, দুর্গাপুর, বর্ধমান, খড়গপুর, শ্রীরামপুর, চুচুঁড়া, উলুবেড়িয়া, কোলাঘাট, তমলুক, কাঁথিতে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজন হলেই যাতে রাস্তায় অতিরিক্ত বাস নামানো যায় সে দিকেও খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে। আর টি ও এবং এ আর টি ও’দের বলা হয়েছে তারা যেন সকাল থেকেই অফিসে থাকে। কোনও অভিযোগ আসলে সরাসরি তাদের সমস্যার সমাধান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পরিবহন দফতরের তরফ থেকে। অর্থাৎ যাতায়াতের দিক থেকে পড়ুয়াদের যাতে কোনো রকম সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয় সেই সকল ব্যবস্থা নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার।