NRS কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির চার দিনের মাথায় অভিযোগ হাসপাতালে খাবার জল নেই : এবার আসানসোল !
নবান্নে জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি অক্ষরে অক্ষরে সত্যি , প্রতিদিন তাই প্রমান করে। চিকিৎসা তো পরের কথা হাসপাতালে খাবার জল নেই। এই গরমে জল কিনে খাচ্ছেন রোগীরা , কিছুদিন আগে ২০১৭ তে পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জী ঘটা করে ঠান্ডা জলের প্রকল্প করে ছিলেন চালু , সেগুলো কোথায় ?
জেলা হাসপাতালে পর্যাপ্ত জল সরবরাহ না থাকায় বিগত ৫ দিন ধরে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে ৷ ঘটনার সূত্রপাত হয় শনিবার রাত থেকেই ৷ হঠাৎ করেই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় ৷
পাশাপাশি হাসপাতালের পুরানো বিল্ডিংএ থাকা শিশু বিভাগ ,গাইনি ,গাইনি ওটি , এসএনসিইউ ও আইসিসিইউতে জলের অভাব দেখা দেয় ৷ একই সাথে হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকার আবাসনগুলিতেও পর্যাপ্ত জল পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ ৷ যদিও এ বিষয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান , রবিবার সকালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও সন্ধ্যের পর থেকে সেই একই পরিস্থিতি দাড়ায় ৷ এর ফলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে রোগী পরিষেবা যেমন ব্যাহত হচ্ছে , তেমনই আবাসনে থাকা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরাও জলের অভাবে নাজেহাল হচ্ছেন ৷
হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রুদ্রনীল লাহিড়ি হাসপাতালের আবাসনেই থাকেন ৷ তিনি বলেন সাধারণত হাসপাতালের পুরানো বিল্ডিংএর বিভাগগুলিতে সারাদিন রাতে প্রায় ৫০০ লিটারের মত জলের প্রয়োজন হয় ৷ পাম্পিং স্টেশন থেকে বিগত কয়েকদিনে জল সরবরাহ পর্যাপ্ত না থাকায় রোগী পরিষেবা যাতে ব্যাহত না হয় সেই জন্য হাসপাতালে থাকা জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের জল সংরক্ষানাগারে এরই মধ্যে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ তাদের বলা হয়েছে রোগী পরিষেবার স্বার্থে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সহ সমস্ত বিভাগে পর্যাপ্ত জলের সরবরাহ বজায় রাখতে ৷ প্রয়োজনে আবাসনে কম জল সরবরাহ হলেও চলবে ৷
একই সাথে সমস্যার সমাধানে হাসপাতালে জল সরবরাহের সংশ্লিষ্ট দফতর ও পাম্পিং স্টেশনের সাথেও যোগাযোগ করা হয়েছে ৷ অন্যদিকে হাসপাতালের নার্সিং সুপার সুরভি মুখার্জী জানিয়েছেন , হাসপাতালের আবাসনে ৩০ – ৩২ জন সেবিকা থাকেন ৷ সেখানেও সারাদিনে প্রায় ৫০০ লিটার জলের প্রয়োজন ৷ আবাসনগুলিতে বিগত ২-৩ দিন যাবৎ পর্যাপ্ত জল সরবরাহ না থাকায় তারা বেশ অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন ৷ তবে এ বিষয়ে হাসপাতালের সুপার নিখিল চন্দ্র দাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে বলেন , হাসপাতালের সুপার স্পেশালিটি ইউনিটে কোনো জলের সমস্যা নেই ৷ তীব্র গরমে জলের চাহিদা বেশি থাকা ও পাম্পিং স্টেশন থেকে পর্যাপ্ত জল সরবরাহ না হওয়ার কারণে যেটুকু অসুবিধা রয়েছে তা শুধু হাসপাতালের পুরানো বিল্ডিংয়েই ৷