অনলাইন ক্লাসে সৃষ্টি হচ্ছিল অনেক সমস্যা, তখনই দূত হয়ে হাজির সোনু
পড়ুয়াদের জন্যে স্মার্টফোন, এবারে ইন্টারনেট কানেকশাসনের জন্যে গ্রামে বসানো হবে টাওয়ার

দেবশ্রী কয়াল : আবারও সমস্যার সমাধান হয়ে ত্রাতা হিসাবে হাজির সোনু সুদ। এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমণের জেরে বন্ধ স্কুল কলেজ, অনলাইনেই এখন পড়াশোনা ভরসা। কিন্তু এখনও অনেক পড়ুয়ারা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে অনলাইনে ক্লাস করতে গিয়ে। চণ্ডীগড়ের একটি সরকারি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার জন্যে স্মার্টফোনের ব্যবস্থা করে দেন সোনু। তবে ছাত্রছাত্রীদের হাতে শুধু স্মার্টফোন তুলে দিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি তিনি। এবার ব্যবস্থা করেছেন মোবাইল টাওয়ার বসানোর। যাতে অনলাইনে ক্লাস করার সময় পড়ুয়ারা ভাল মত ইন্টারনেট কানেকশন পায়। পড়াশোনায় যাতে কোনো ব্যাঘাত না ঘটে, তার জন্যে সকল রকম ব্যবস্থা নিচ্ছেন বাস্তবের হিরো সোনু সুদ।
চণ্ডীগড়েই থাকেন সোনুর এক বন্ধু করণ গিলহোত্রা। তাঁর সঙ্গে মিলেই পড়ুয়াদের পড়াশোনার সমস্যার সমাধান করেছেন অভিনেতা। জানা যাচ্ছে, ইন্দাস টাওয়ার এবং এয়ারটেলের সহযোগিতায় এই দুই বন্ধু চণ্ডীগড়ের মোরনি এলাকায় একটি মোবাইল টাওয়ার বসানোর ব্যবস্থা করেছেন। যাতে অনলাইনে ক্লাস চলাকালীন ইন্টারনেট পরিষেবা পেতে পড়ুয়াদের কোনও রকম সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয়। কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল একটি ভিডিও। সেখানে দেখা গিয়েছিল গাছের ডালে চড়ে মোবাইলে ইন্টারনেট কানেকশন আনার চেষ্টা করছে এক পড়ুয়া। এই ভিডিওটি চণ্ডীগড়ের মোরনির দাপানা গ্রামে তোলা হয়েছে। এরপর সোনু সুদ এবং তাঁর বন্ধু করণ গিলহোত্রা, দু’জনকেই ট্যাগ করা হয় ওই ভিডিওতে। বিষয়টি নজরেও আসে সোনু এবং করণের। এরপরেই ওই স্কুলের পড়ুয়াদের জন্যে স্মার্টফোন এর ব্যবস্থা করেন তাঁরা, আর এবারে ইন্টারনেটের ব্যবস্থাও করছেন।
এই প্রসঙ্গে করণ বলেন, ‘দেখে খারাপ লাগে যে প্রাথমিক শিক্ষাটুকু পাওয়ার জন্য বাচ্চাদের কত কষ্ট করতে হচ্ছে। আমাদের সকলের উচিত নিজেদের সাধ্য অনুযায়ী ওদেরকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া। ওদের সমস্যার সমাধান করা। আর এই মোরনির ঘটনাটা জানতে পেরেই ইন্দাস টাওয়ার আর এয়ারটেলের সঙ্গে আমি কথা বলেছিলাম। ওরা টাওয়ার বসাতে রাজি হয়েছে। গ্রামে সার্ভে করে নির্দিষ্ট একটা এলাকা ওরা চিহ্নিত করেছে মোবাইল টাওয়ার বসানোর জন্য। এই টাওয়ার বসলে এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা আরও ভাল ভাবে পাওয়া যাবে। সিম ছাড়া ঘরে বসেই নিরাপদে ইন্টারনেট কানেকশন পেয়ে অনলাইন ক্লাস করতে পারবে বাচ্চারা তাদের পড়াশোনার কোনো ক্ষতি হবে না।’
এরপর এই প্রসঙ্গে সোনু সুদ বলেন, ‘বাচ্চারাই আমাদের দেশের ভবিষ্যত। তাই তাদের সুদৃঢ় ভবিষ্যত গড়ার জন্য সকলের সমান অধিকার পাওয়া উচিত। প্রতিমুহূর্তে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে, কিন্তু সেটা কাউকে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছনোয় বাধা দিতে পারে না। ওই প্রত্যন্ত গ্রামে মোবাইল টাওয়ার বসানোর কাজে যুক্ত থাকতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি। বাচ্চাদের আর গাছে চড়ে কোস্ট করে মোবাইলে ইন্টারনেট কানেকশন আনতে হবে না।’