প্রযোজনের থেকে অপ্রযোজনের ম্যাসেজ বেশি আসছে , হিমশিম পুলিশ কর্মীরা
পুলিশ সন্দেহে এইসব ম্যাসেজের ভিড়ে কোনো অভিযোগ দৃষ্টির অগোচরে যেতেই পারে

তিয়াসা মিত্র : বছর পড়তেই ক্রিস্টমাসের আনন্দের যে ফল তাই নিয়ে নাক ঝামটা ডাক্তার থেকে পুলিশ সকলে। এরই মধ্যে পুলিশ কর্মীদের মধ্যেও বেশির ভাগ কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়ে পরে ফলে এক এক স্থানের পুলিশ অধিকর্তা থেকে শুরু করে পুলিশ কর্মী থানার কাজ সামলাতে নাকাঝামটা খাচ্ছে। রেকর্ডার পর রেকর্ড ভাঙা করোনা আবহে যাতে সাধারণ মানুষ ফোনের সাহায্যের নিজেদের অভিযোগ পুলিশ-এর কাছে জানাতে পারে সেই কারণে শুরু হয়েছিল হোয়াটস্আপ ব্যবস্থা।
নয়া নম্বর চালু হওয়ার পরে কোনও কোনও থানায় দিনে গড়ে একটি বা দু’টি অভিযোগ আসছে। কোনও কোনও থানায় সেই সংখ্যা আরও কম। আর বাকি সবই অপ্রয়োজনীয় মেসেজ। গল্ফগ্রীণ থানার পুলিশ অধিকর্তা জানান দিনে ২থেকে ৩ টি অভিযোগ আসছে, কেউ কেউ বাড়ির পাশে মধ্যরাত পর্যন্ত পিকনিক করার অভিযোগও লিখে পাঠাচ্ছেন। ওই পুলিশকর্মীর কথায়, ‘‘নম্বর প্রচার করা হলেও এখনও অনেকে জানেন না। অনেকে আবার মোবাইলে অভিযোগ জানানো যায়, এটাই বিশ্বাস করতে পারছেন না। ফলে সরাসরি থানায় চলে আসছেন।’’
সরাসরি থানাতে আসছে ভবানীপুর, প্রগতি ময়দান, উল্টোডাঙা, মানিকতলা, হেস্টিংস, মুচিপাড়া-সহ শহরের একাধিক থানাতে। ভবানীপুর পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথম ২-৩ দিন কোনো ফোন-এ অভিযোগ আসেনি। শুধু এসেছে হাই হ্যালো ম্যাসেজ। সাউথ ডিভিশনের এক থানার পুলিশ আধিকারিক বললেন, ‘‘লালবাজারের দেওয়া নম্বরে অভিযোগ আসছে কোথায়! সবই তো আসছে পরিচিত অফিসারদের ব্যক্তিগত নম্বরে। দিনকয়েক গেলে হয়তো পরিস্থিতি বদলাবে। গুড মর্নিং, গুড নাইট এই মেসেজেই ভর্তি পুলিশ হেল্পলাইন হোয়াটসআপ। তাদের সন্দেহ এইসব ম্যাসেজের ভিড়ে কোনো অভিযোগ দৃষ্টির অগোচরে যেতেই পারে। ইস্ট ডিভিশনের থানার এক আধিকারিক বললেন, ‘‘আমাদের থানায় এখনও এ সব কেউ করেনি। তবে আমরা ভেবে রেখেছি, কেউ এসব লিখলে তাঁকে কড়া ভাষায় বারণ করা হবে।’’ এমন কড়া দাওয়াইয়ের কথা ভাবছেন আরও কয়েকটি থানার আধিকারিকেরাও। তবে কতটা কি সুরাহা হবে সেটা নিয়েই বড়োসড়ো প্রশ্ন চিহ্ন এখনো গোটা পুলিশ বাহিনীতে।