
বনিতা রায় : বঙ্গ রাজনৈতিক জগতে নক্ষত্র পতন। বেশ কিছুদিন ধরে ভর্তি এসএসকেএম হাসপাতালে বৃহস্পতিবার রাত ৯.২২ মিনিটে ৭৫বছর বয়সে সুব্রত মুখার্জ্জী শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বেলা ২ টো পর্যন্ত রবীন্দ্র সদনে শায়িত থাকবে প্রয়াত নেতার দেহ। তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বহু মানুষ এবং রাজনেতিক নেতা, কর্মীরা ভিড় করছে রবীন্দ্র সদনে।
সুব্রত মুখোপাধ্যায় ছিলেন ইন্দিরা গান্ধীর প্রিয়। প্রিয় দাশমুন্সি এবং সোমেন মিত্র তার দুই অগ্রজ সঙ্গী আগে চলে গিয়েছিলেন এবার তিনি ও চলে গেলেন বঙ্গ রাজনীতির সোনালী অধ্যায় সমাপ্ত হল। বজবজ এলাকার সারেঙ্গাবাদে জন্ম হয় সুব্রত মুখোপাধ্যায়। বালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে ১৯৭১ সালে প্রথমবার বিধানসভা ভোটে প্রতিনিধিত্ব করে প্রথম বার বিধায়ক পদে নির্বাচিত হন।১৯৭২ সালে দ্বিতীয়বারের জন্য বিধায়ক হন এবং ওই বছরই সিদ্বার্থশঙ্কর রায়ের মন্ত্রিসভার সদস্য হন ও স্বরাষ্ট, তথ্য ও সংস্কৃতি প্ৰতিমন্ত্রী হন। সবচেয়ে তিনি কমবয়সী মন্ত্রী হওয়ার রেকর্ড করেছেন। ১৯৭৭ সালে তিনি বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হন। ১৯৮২ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত জোড়াবাগান কেন্দ্রের বিধায়ক হন এবং ওই বছরই চৌরঙ্গী কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হন। এরপর ২০০০ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান এবং কলকাতা পৌরসভার মেয়র হন এবং ২০০৪ সালে কলকাতা উত্তর-পশ্চিম লোকসভা আসনে তৃণমূল প্রার্থী। ২০০৫ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল নতুন মঞ্চ গঠন করেন এবং কংগ্রেসে আবার যোগ দেন। ২০০৯ সালে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে বাঁকুড়া কেন্দ্র থেকে পরাজিত হন। ২০১০ সালে আবারও কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। ২০১১ সালে বালিগঞ্জে কেন্দ্র থেকে জয়ী হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রিসভার জনস্বাস্থ্য ও পঞ্চায়েত দপ্তরের মন্ত্রী হন সুব্রত মুখার্জ্জী। ২০১৯ সালে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে প্রতিনিধিত্ব করে ভোটে পরাজিত হন। তার মৃত্যুতে শোকাহত গোটা দেশ।