ভারতের আশা-আকাঙ্খা পূরণ করবে এই নয়া শিক্ষানীতি : দাবি প্রধামন্ত্রীর
নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে এবার আবারো সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদী

পল্লবী কুন্ডু : একদিকে নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দল গুলি। একাধিক মহল থেকে এমনও অভিযোগ উঠে আসছে যে, মোদী সরকার শিক্ষাকেও গেরুয়াকরণের চেষ্টায় উঠে পড়ে লেগেছে। পাশাপাশি আগত নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে একাধিক সাধারন মানুষের মনেও জাগছে নানান প্রশ্ন।এমন পরিস্থিতিতে ২০২২ সালের মধ্যে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ দেশজুড়ে লাগুর করার জন্য এ দিন আর্জি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে তিনি বলছেন,’পড়তে পড়তে আমরা শিখি। কিন্তু তার বাইরেও আমাদের অনেক কিছু শিখতে হবে। আমি ২০২২ সালের মধ্যে সকল পড়ুয়াদের জাতীয় মিশনের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আবেদন করব। শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত সকলে এগিয়ে আসুন, আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যে জাতীয় শিক্ষানীতিকে সফলভাবে প্রয়োগ করুন।’পাশাপাশি এই নয়া জাতীয় শিক্ষানীতিতে ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও বিরাট সুযোগ সুবিধা থাকছে এবং যে বিষয়টি সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ তা হলো, ২০৩৫ সালের মধ্যে স্কুল স্তরের পড়াশোনা পাশ করার পরে অন্তত ৫০ শতাংশ পড়ুয়া যাতে উচ্চ শিক্ষায় ভর্তি হয় তার ব্যবস্থা করা।
এছাড়াও আগত শিক্ষানীতিতে পড়ুয়াদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি এবং এক্সিটের সুবিধা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে যে কোনও সময় সহজে ভর্তি হতে পারবে এবং বেরিয়েও যেতে পারবে। উচ্চ মাধ্যমিকের পদ্ধতিতে বদল আসছে। স্কুল এডুকেশন কনক্লেভে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ ভারতকে একবিংশ শতকের দিক নির্দেশ করবে, নয়া যুগের সূচনার সোপান হল এই শিক্ষানীতি।’ এ দিন অবশ্য প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘বিগত চার থেকে পাঁচ বছর ধরে কঠিন পরিশ্রম করে এই শিক্ষানীতি তৈরি করা হয়েছে। বহু শিক্ষাবিদের মতামত নেওয়া হয়েছে। গোটা দেশে এই শিক্ষানীতি কার্যকর করতে হবে। সকলকে মিলিত ভাবে এই শিক্ষানীতি নিয়ে কাজ করতে হবে।’
আরও একবার নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি দাবি করছেন, ভারতের আশা-আকাঙ্খা পূরণ করবে এই নয়া শিক্ষানীতি।