নতুন সংক্রমণ চিনের উহানে! বিশ্বজুড়ে করোনার বলি ২ লক্ষ ৮৭ হাজার ৩৩৬
বিধিনিষেধ শিথিল করার তিনদিনের মধ্যেই জার্মানিতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হার লাফিয়ে বেড়েছে৷
প্রেরনা দত্তঃ বিশ্ব জুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। করোনা ফের চোখ রাঙাচ্ছে চিনের উহানেও। এক মাস পরে গত কালই সেখানে নতুন করে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। এ জন্য প্রশাসনিক গাফলতিকেই কাঠগড়ায় তুলে আজ আঞ্চলিক প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তাকে বরখাস্ত করেছে বেজিং।দুনিয়া জুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ লাখ পার করে গিয়েছে।তার সাথেই মৃত্যু সংখ্যা ৩ লাখ ছুঁই ছুঁই। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫ লাখের বেশি মানুষ।
মার্চ মাস থেকেই সংক্রমণ হয়ে উঠতে শুরু করেছিল করোনাবাইরাসের উৎপত্তিস্থল চিন। এমনকি করোনার আঁতুড়ঘর, হুবেই প্রদেশের উহান শহরও পুরোপুরি করোনামুক্ত বলে ঘোষণা করে চিন সরকার। জানায়, সে দেশে এখন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা শূন্য। গত মাস থেকে ধীরে ধীরে তুলে নেওয়া হয় লকডাউন। কিন্তু তার পরেই মারণভাইরাস ফের মাথাচাড়া দিয়েছে সেখানে। আবারও সেই উহানেই। গত শনিবারই খোঁজ মিলেছিল দ্বিতীয় দফায় সেখানে এক জনের আক্রান্ত হওয়ার, এ সপ্তাহে সেই সংখ্যাটা বেড়ে ২০ ছুঁতে চলল। নতুন করে এই আক্রান্তদের মধ্যে কারওই জ্বর, সর্দি-কাশি বা শ্বাসকষ্টের মতো কোনও উপসর্গ ছিল না। ফলে নতুন করে উপসর্গহীন এইগুচ্ছ সংক্রমণ নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় পড়েছে উহান প্রশাসন।
চীনের গণ্ডি পেরিয়ে দেশে দেশে লাখো মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়া এই ভাইরাস শতাব্দির ভয়াবহ আতঙ্ক নিয়ে হাজির হয়েছে বিশ্ববাসীর কাছে। প্রায় তিন লাখ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে প্রতিনিয়ত। বিধিনিষেধ শিথিল করার তিনদিনের মধ্যেই জার্মানিতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হার লাফিয়ে বেড়েছে৷ এমন অবস্থায় রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের উপর জোর দিয়েছেন দেশটির বিজ্ঞানীরা৷
প্রতিনিয়ত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যু এবং সংক্রমণ। চীনে গত বছরের ডিসেম্বরে একেবারে নতুন এই ভাইরাসটি মাত্র ৪ হাজার ৬৩৩ জনের প্রাণ কাড়লেও মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে আমেরিকা এবং ইউরোপের কিছু দেশকে।
একক দেশ হিসেবে করোনায় সর্বোচ্চ প্রাণহানি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ৮১ হাজার ৭৯৫ জন। আক্রান্তের তালিকাতেও শীর্ষে থাকা এই দেশটিতে বর্তমানে করোনা রোগীর সংখ্যা ১৩ লাখ ৮৫ হাজার ৮৩৪ জন। তবে দেশটিতে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ লাখ ৬২ হাজার ২২৫ জন। বাকি ১০ লাখ ৪১ হাজার ৮১৪ জন এখনও করোনার চিকিৎসা নিচ্ছেন।