১২ লক্ষের গন্ডি পার করলো ভারত, তবে লক্ষণরেখা টানতে পারে ‘কোভিশিল্ড’
ভারতে মোট আক্রান্তের পরিমাণ এবার ছাড়িয়ে গেলো ১২ লক্ষ, সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা ১২,৩৮,৬৩৫।
পল্লবী কুন্ডু : যতই আনলক চলুক, যতই নতুন নিয়মে লকডাউন চলুক বদল নেই পরিস্থিতির। দেশে ক্রমশ সঙ্কটের দিকেই এগোচ্ছে সংক্রমণের হার। পরিস্থিতির অবনতি ছাড়া উন্নতি হচ্ছেনা কিছুই। বৃহস্পতিবার আবারো নতুন করে ভাঙলো পূর্ববর্তী রেকর্ড। একধাক্কায় বেশ কিছুটা বাড়লো আক্রান্তের সংখ্যা। সরকার থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫,৭২০। মৃত্যু হয়েছে ১১২৯ জনের। ভারতে মোট আক্রান্তের পরিমাণ এবার ছাড়িয়ে গেলো ১২ লক্ষ। মোট তথ্য হিসেবে করে এই মুহূর্তে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখা ১২,৩৮,৬৩৫। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭,৮২,৬০৭ জন। মোট মৃতের সংখ্যা ২৯,৮৬১।
গতকাল অর্থাৎ বুধবারই সবথেকে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মোট পরীক্ষা হয়েছে দেড় কোটি। ভারতে যে রাজ্য গুলিতে করোনা তার সম্পূর্ণ আধিপত্য বিস্তার করেছে সেগুলি হল মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক ও উত্তরপ্রদেশ। টেস্ট বাড়ছে ফলে খুব দ্রুততার সঙ্গেই ধরা পড়ছে আক্রান্ত। কিন্তু যে বিষয়টি নিয়ে চিন্তার মেঘ এখনো কাটেনি তা হল, আসিম্পটোমেটিক অর্থাৎ কোনোরকম উপসর্গ ছাড়াই ধীরে ধীরে দেহের মধ্যে বাসা বাঁধছে করোনা।
কিন্তু আশা এখনো রয়েছে। একদিকে দেশে সুস্থতার হার বাড়ছে অন্যদিকে ভ্যাকসিনের জন্য অতি মাত্রায় তৎপর হয়েছে দেশ। ভারতীয় সংস্থা ‘সেরাম ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট’ও অক্সফোর্ডের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে। এই সংস্থার কর্ণধার জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন এলে ঠিক কত খরচ হতে পারে। গত সোমবারই এই বিষয় নিয়ে অক্সফোর্ডের গবেষকরা জানিয়েছেন, তাঁদের তৈরি ভ্যাক্সিনে ইমিউনিটি তৈরি হচ্ছে। প্রথম মাইলস্টোন পার করে ফেলেছেন বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। এরপরই ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাত্কারে সেরাম ইনস্টিটিউটের কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা জানান, ভ্যাক্সিন পেতে খরচ হবে না খুব বেশি। তিনি এও জানিয়েছেন এই ভ্যাক্সিনের নাম হবে ‘কোভিশিল্ড’। ভ্যাক্সিন সফল হলেই ভারতে দ্রুত প্রচুর পরিমাণে ভ্যাক্সিন তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরো বলেন যে, কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিন সবার জন্য সহজলভ্য হবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, সম্ভবত ভারতের বেশির ভাগ মানুষকে এই ভ্যাক্সিনের জন্য কোনও দাম দিতে হবে না, অর্থাত্ বিনামূল্যেই ভ্যাক্সিন পাবেন তাঁরা। ভারতে ‘মাস ভ্যাক্সিনেশন’ বা সবাইকে ভ্যাক্সিন দেওয়ার প্রোগ্রাম হবে, আর তাতেই প্রতিষেধক পাবেন বেশির ভাগ মানুষ।
এর আগেই ভ্যাকসিন নিয়ে একটি বিতর্ক তৈরী হয়েছিল কিন্তু এবার কিছুটা স্বস্তি দিয়েই কোভিশিল্ড-এর কথা ঘোষণা করে কতৃপক্ষ। এই ভ্যাকসিন সফল হলেই এক মাইলস্টোন অতিক্রম করবে ভারত।