
পল্লবী কুন্ডু : হাথরাসে ২০ বছরের ওই দলিত যুবতীকে যে নৃশংস ভাবে গণ ধর্ষণ করা হয়েছিল তার সঠিক বিচার কি আদৌ মিলবে ? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে কি সক্ষম ইউপি প্রশাসন ? তবে এবার আরো কড়া আলোকপাত এই বিষয় নিয়ে। আজ উত্তর প্রদেশ সরকার সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ করে হাথরাসে সিবিআই তদন্তে নজরদারি চালাতে। সিবিআই আধিকারিকেরা হাথরাসের ঘটনাস্থলে যান যেখানে সেই উচ্চবর্ণের ৪ ব্যক্তির দ্বারা ওই দলিত কন্যা ধর্ষিত হয় এবং মঙ্গলবার এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
সিবিআই দল মঙ্গলবার ইউপি-র গ্রামে সেই বাজরা ক্ষেতে যায় যেখানে ঘটনাটি ঘটেছিল। নির্যাতিতার মাকেও ওখানে নিয়ে যায় সিবিআই দল। পরে সেখানেও যায় সিবিআই এবং সকলের অগোচরে যেখানে প্রশাসন তরফ থেকে গভীর রাতে সেই নির্যাতিতার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছিল। পাশাপাশি ইউপি সরকার এক হলফনামায় নির্যাতিতার পরিবারকে দেওয়া সুরক্ষার তথ্য জানিয়েছে শীর্ষ আদালতকে। হাথরাসে ও তার বাড়ির বাইরে সুরক্ষার জন্য মোতায়েন পুলিশ কর্মীদের তালিকা জমা দেওয়া হয়েছে। নির্যাতিতার বাড়ির বাইরে ৮টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে নজর রাখার জন্য।
এদিকে ইউপি সরকার শীর্ষ আদালতকে অনুরোধ করেছে নির্দেশ দিতে যাতে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এক পক্ষকালের মধ্যে রাজ্য সরকারকে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেয়, পুলিশ প্রধান তাহলে সেই রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টকে দিতে পারবেন। সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি উঠবে বৃহস্পতিবার। উত্তর প্রদেশের হাথরাসে ২০ বছরের দলিত যুবতীকে গণ ধর্ষণ ও অমানবিক অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ। প্রথম দিকে যুদ্ধ চালিয়ে নিয়ে গেলেও শেষে হার মেনে নেয় ওই দলিত কন্যা। দিল্লির এক হাসপাতালে মারা যায় সে।