ত্রৈমাসিকে কমবে দেশের জিডিপি, আশার আলো দেখাচ্ছেন আরবিআই গভর্নর
করোনা, লকডাউনের কারনে আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে দেশ তবে আর্থিক বছর শেষের আগেই সেই সমস্যার হবে সমাধান

দেবশ্রী কয়াল : আজ সারা বিশ্ব তথা ভারতবর্ষ মারণ করোনার শিকার হয়েছে। যত দিন বাড়ছে ততই দেশে বেড়ে চলেছে এই অদৃশ্য মারণ ভাইরাসের প্রকোপ। আর অপরদিকে লকডাউন বিষ ফোঁড়ার মত মানুষকে প্রতিনিয়ত বিঁধছে। দেশের অর্থনীতির হাল হয়ে রয়েছে বেহাল। তবে এই বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনা আবহে খানিক স্বস্তির কথা আজ শোনালেন আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। তাঁর কথায় করোনা ধাক্কায় প্রাথমিক ভাবে গোটা দেশ আর্থিক সঙ্কটের মুখোমুখি হলেও চলতি অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকেই ধীরে ধীরে কাটবে সেই মন্দার মেঘ।
এদিকে ২০২০-২১ অর্থবর্ষের শেষে প্রায় ৯ শতাংশের বেশি জিডিপি সঙ্কোচনের পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাঙ্ক ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক। যদিও আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের মতে তাঁরা গোটা পরিস্থিতির উপর প্রতিনিয়ত নজর রাখছেন। প্রয়োজন মতো সরকারকে পরামর্শও দিচ্ছেন। তবে তাঁর মতে ধীর গতিতে হলেও চলতি অর্থবছরের শেষভাগে ধীরে ধীরে উন্নতি দেখা যাবে দেশীয় অর্থনীতি পরিস্থিতিতে। প্রসঙ্গত উল্লেখ, কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্টেই দেখা যাচ্ছে চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে দেশে জিডিপির হার কমেছে ২৩.৯ শতাংশ।
তবে গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের মতে আগামী জানুয়ারি থেকে মার্চ ত্রৈমাসিকে এই সঙ্কোচনের পরিমাণ অনেকটাই কমে যাবে। দীর্ঘায়িত লকডাউন ও করোনাকালে বেকরত্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি মানুষের সামগ্রিক জীবনমান পড়ে যাওয়াতেই দেশীয় অর্থনীতিতে এই বড়সড় সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছে বলে অর্থনীতিবিদদের মত। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি রূপায়ণ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, জুলাই মাসে দেশে শিল্প উত্পাদনের সূচক বা আইআইপি নেমেছে ১০.৪ শতাংশে। ফলস্বরূপ জুলাই মাসে দেশীয় শিল্প উত্পাদন সূচক দাঁড়িয়েছে ১১৮.১। রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেছেন, চলতি অর্থবছরে অর্থনীতি ৯.৫ শতাংশ কমে যেতে পারে। মুদ্রা নীতি কমিটির তিন দিনের পর্যালোচনা সভার পরে রিজার্ভ ব্যাংক এই পূর্বাভাস দিয়েছে। এখন দেখার বিষয় এই অর্থবর্ষ শেষের আগে ত্রৈমাসিকে আর্থিক সঙ্কট এর সমস্যা কতটা সমাধান হয়।