মস্কো ইউক্রেন যুদ্ধের ঘন কালো মেঘ পুঞ্জীভূত, আক্রমণের বর্ষণ অপেক্ষা
আমেরিকার মস্কোর দূতাবাসের এক আধিকারিককে রাশিয়া বরখাস্ত করেছে
তিয়াসা মিত্র : “আমরা সেনা সরিয়ে নিচ্ছি” এরকমই আশ্বাসের কথা দিয়েছিলো মস্কো। যেখানে ইউক্রেন সীমান্তে মস্কো বহুদিন যাবৎ সৈন্য বাহিনী জমায়েত করতে শুরু করেছিলেন যুদ্ধের জন্য, পরবর্তী ক্ষেত্রে এক বৈঠকের মাদ্ধমে সেই যুদ্ধ রোধ করতে এবং সৈন্যদল সরাতে নির্দেশ দেওয়া হয় মস্কোকে।
তবে, ইউক্রেন-রাশিয়া সীমান্তের উপগ্রহচিত্র সামনে আসার পরেই এ বার রাষ্ট্রপুঞ্জে সরব হল আমেরিকা। মস্কোর আশ্বাসবাণী খারিজ করে আমেরিকার বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের দাবি, ইউক্রেন সীমান্তে পুরোদমে যুদ্ধের প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে রুশ ফৌজ। নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সভায় তিনি বলেন, ‘‘গোয়েন্দা তথ্যে স্পষ্ট, যে কোনও সময় প্রতিবেশীকে আক্রমণের জন্য সেনাকে নির্দেশ দিতে পারে রাশিয়া সরকার।’’ইউক্রেনে সেনা অভিযান না চালানোর বিষয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রসঙ্ঘে প্রতিশ্রুতিও দাবি করেন ব্লিঙ্কেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও বৃহস্পতিবার ফের ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা আশঙ্কা করছি কয়েক দিনের মধ্যেই আক্রমণ শুরু করবে রুশ সেনা।’’ এরই মধ্যে আমেরিকার মস্কোর দূতাবাসের এক আধিকারিককে রাশিয়া বরখাস্ত করেছে। এর ফলে পশ্চিমী দুনিয়ার সঙ্গে ভ্লাদিমির পুতিন সরকারের কূটনৈতিক টানাপড়েন আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
উক্রেন সীমান্তের ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে অন্তত ১৪টি ঘাঁটি বানিয়েছে রুশ ফৌজ। দ্রুত সীমান্তে সেনা পাঠাতে রাতারাতি তৈরি করে ফেলা হয়েছে অস্থায়ী সেতু। তা ছাড়া, রুশ সীমান্ত-শহর ভালিউকিতে বেশ কিছু সাঁজোয়া গাড়ি ও সেনা কপ্টার মজুত রাখা হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম রাশিয়ার এই শহরটি ইউক্রেন সীমান্ত থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে। বুধবার ক্রাইমিয়ার বন্দরে পৌঁছেছে তিনটি রুশ যুদ্ধজাহাজ। ২০১৪ থেকে রাশিয়া ইউক্রেনের এই অংশটি নিজেদের দখলে রেখে দিয়েছে।