সোশ্যাল মিডিয়ায় নাথুরামকে ‘দেশভক্ত’ আখ্যা সাধ্বী প্রজ্ঞার, তবে কি ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটলো?
দিগ্বিজয় সিং এর টুইটের জবাবে বিতর্কের উস্কানি

মধুরিমা সেনগুপ্ত: আগেও সংসদে নাথুরামকে দেশপ্রেমিক বলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। ফের একবার সোশ্যাল মিডিয়ায় গডসে কে দেশভক্ত বলে পুনরায় শিরোনামে বিজেপি সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর (Sadhvi Pragya Singh Thakur)। গতকালই মধ্যপ্রদেশের পুলিশ মহাত্মা গান্ধীর (Mahatma Gandhi) হত্যাকারী নাথুরাম গডসের নামে হিন্দু মহাসভার খোলা লাইব্রেরি ‘গডসে জ্ঞানশালা’ বন্ধ করে দিয়েছে। এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রেস সাংসদ দিগ্বিজয় সিং টুইটারে ক্ষোভ উগরে দেন। তার কথায় নাথুরামকে যারা মহিমান্বিত করার চেষ্টা করছেন তাদের লজ্জা হওয়া উচিত। আর সেই টুইট এরই পাল্টা জবাব দিতে বিতর্কিত মন্তব্যটি করে বসেন সাধ্বী প্রজ্ঞা।
এদিন দিগ্বিজয় সিং এর সেই টুইটের প্রত্যুত্তরে সাধ্বী বলেন, ”দেখুন, কংগ্রেস বরাবরই দেশভক্তদের গালাগালি দিয়েছে। উনি আগে ‘গেরুয়া সন্ত্রাসের’ কথাও বলেছেন। এর থেকে খারাপ আর কী হতে পারে?” এর আগেও নাথুরামকে ‘দেশভক্ত’ বলায় পরিস্থিতি এমন দিকে গড়ায় যে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন নেত্রী। আর এবার আরো একবার ইতিহাসের পুনরাবৃত্তের পথে হাঁটলেন তিনি।
বুধবার দিগ্বিজয় সিং তার টুইট করেন, ”মহামান্য মদনমোহন মালব্যজি, যিনি মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গী ও অনুগত ছিলেন, তিনিই হিন্দু মহাসভার প্রতিষ্ঠাতা। তিনি সর্বভারতীয় কংগ্রেসের তিনবারের সভাপতিও। আর আজ হিন্দু মহাসভার সদস্যরা মহাত্মা গান্ধীর খুনি নাথুরামের প্রশস্তি গাইছে! কিছু তো লজ্জা থাকা উচিত। এর পিছনে কার লুকনো অ্যাজেন্ডা রয়েছে?”
প্রসঙ্গত, গত রবিবারই মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে ‘গডসে জ্ঞানশালা’র উদ্বোধন করেছিল অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা। খবরটি ছড়িয়ে পড়তেই বিষয়টি নিয়ে কঠোর সমালোচনা। কংগ্রেসের তরফ থেকে কটাক্ষ করে বলা হয় যে গান্ধীর দেশে নাথুরাম গডসের মতামত প্রচারের চেষ্টা করছে বিজেপি-আরএসএস জুটি। এই কটাক্ষের পর থেকেই অস্বস্তি বাড়ছিল মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকারের। অবশেষে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক পুলিশকে অবিলম্বে ওই লাইব্রেরির বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করার নির্দেশ দেয় এবং পুলিশ এসে উদ্বোধনের দু’দিন পরেই বন্ধ করে দেয় লাইব্রেরিটি।