শর্বরী দত্তের প্রয়ানে গভীরভাবে শোকাহত অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়
শর্বরীদি বাংলার একজন কিংবদন্তী, যিনি তাঁর সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে সকলের কাছে বেঁচে থাকবেন, বললেন অভিনেতা।
পল্লবী কুন্ডু : চিরবিদায় নিয়েছেন শর্বরী দত্ত। ওনার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে টলিপাড়া জুড়ে।সমবেদনা জানিয়েছেন বহু অভিনেতা অভিনেত্রী। নিজের স্মৃতিকে আবারো স্মরণে আনলেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।শর্বরীদি খুব ভাল ভালে বুঝতেন আমার পছন্দ, তাই একবার বলে দিলেই মনের মতো করে তৈরি করে দিতেন আমার জন্য পোশাক, জানান প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী।২০ থেকে ২২ বছর আগে শর্বরীদির পোশাকে আমি মডেলিং করেছিলাম। চোখের বালিতে অভিনয় করার আগে। সেই সময় স্টার বা সেলেব্রিটিরা মডেলিং করত না। তবে শর্বরীদির সঙ্গে আমার সেই কাজ বেশ সাড়া ফেলেছিল, জানিয়েছেন অভিনেতা।
শর্বরী দত্তের প্রয়ানে গভীরভাবে শোকাহত অভিনেতা। অভিনেতা আরো বলেন, শর্বরীদি বাংলার একজন কিংবদন্তী, যিনি তাঁর সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে সকলের কাছে বেঁচে থাকবেন।শর্বরী দত্ত নেই, তবে মানুষ তাঁকে তাঁর কাজের মধ্যে দিয়ে মনে রাখবেন।তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করেছেন প্রসেনজিত্।
বৃহস্পতিবার রাত ১১-৩০ নাগাদ বাথরুম থেকে তাঁর মৃত দেহ উদ্ধার হয়।মৃত্যুর খবর পেয়ে বিখ্যাত ডিজাইনারের ব্রড স্ট্রিটের বাড়িতে যায় কড়েয়া থানা ও লাল বাজারের পুলিশ। তখন শর্বরী দত্তের দেহ রাখা ছিল তাঁর বেডরুমের কার্পেটে। বাথরুমের শিঁড়িতে জমাট রক্ত। সেখানেই সম্ভবত তিনি পিছলে পড়েন।পুলিশের গাড়িতেই আসেন পারিবারিক বন্ধু অর্থপেডিক সার্জেন অমল ভট্টাচার্য্য। পুলিশের অনুমতি নিয়ে দেহ ঘরে আনা হয়। রাত ২-২০ নাগাদ কড়েয়া থানার ওসি আসেন। ৩টে নাগাদ আসেন লালবাজারের হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরা। ভোর ৪ টে নাগাদ দেহ ময়না তদন্তের জন্য এন আর এস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।