রাত পোহাতেই মান ভঞ্জন, একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করার বার্তা দিলেন শতাব্দী
দিল্লি সফর বাতিল করে ঘাসফুল শিবিরের পাশে থাকার বার্তা দেন সাংসদ শতাব্দী রায়

পল্লবী কুন্ডু : দলের প্রতি নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন, সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দিল্লি যাওয়ার। সেখানে অমিত শাহের সাক্ষাতের সম্ভাবনার কথা ক্রমশ জল্পনা বাড়িয়েছিল। তবে দলীয় শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পরে সমস্ত মান-অভিমানের পালা মিটেছে। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করার বার্তা দিলেন শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)।
রাজনৈতিক মহলে একটা সুপ্ত বিবাদের সুর বাজছিলো বৃহস্পতিবার থেকেই। তবে কি শতাব্দীও নাম লেখাতে চলেছেন গেরুয়া শিবিরে, তা নিয়ে রাজনীতি উত্তপ্ততা ক্রমশ বাড়তে থাকে। শুক্রবার দিল্লি যাওয়ার কথাও স্বীকার করেন বীরভূমের তিনবারের সাংসদ। দুপুরে কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) সঙ্গে বৈঠকও হয়। অবশ্য সেই বৈঠকের সঙ্গে রাজনীতির বিশেষ যোগসূত্র নেই বলেই দাবি করেন কুণাল। তারপর সন্ধ্যাতে ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে কুণালের সঙ্গে শতাব্দীও যান। তাঁদের বৈঠক হয়।
আর সেই বৈঠকের পরেই ছবি পুরো ভিন্ন। দলকে ‘ফ্যাসাদে ফেলতে’ দিল্লি যাওয়া তাঁর উদ্দেশ্য নয় বলেই জানিয়ে দেন। দিল্লি সফর বাতিল করে ঘাসফুল শিবিরের পাশে থাকার বার্তা দেন সাংসদ শতাব্দী রায়। সাথে শনিবার সকালে দীর্ঘ ফেসবুক পোস্ট। ওই পোস্টে গতকালের বৈঠকের কথা উল্লেখ করেন তিনি। একজন দলীয় কর্মী হিসাবে বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করবেন বলে জানান তিনি। আগামী দিনে কারও কোনও সমস্যা হলে বা ক্ষোভ তৈরি হলে তা মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলেন। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের ক্ষোভের জন্য ঘাসফুল শিবিরকে সমস্যায় ফেলে বিরোধীদের হাত শক্ত করা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেও পোস্টে বার্তা দেন শতাব্দী।