হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অকাল প্রয়াণ ফুটবলার সত্যজিৎ ঘোষ রায়ের
চোটের কারনে কেরিয়ারে পড়েছিল থাবা, তবে এবারে আর হল না শেষরক্ষা

দেবশ্রী কয়াল : এই বছরের শুরুটাই হয়েছিল বিষময়, যার রেশ রয়ে গেছে এখনও। অকাল প্রয়াণ ঘটল মোহনবাগানের (Mohun Bagan) প্রাক্তন ফুটবলার সত্যজিত্ ঘোষ (Satyajit Ghosh) রায়ের। মৃত্যু কালে তাঁর বয়েস হয়েছিল মাত্ৰ ৬২ বছর। আজ সোমবার সকালবেলা হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পথেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সত্যজিৎ বাবু। চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্সক। হয়নি শেষরক্ষা টুকু।
১৯৮১ সালে রেলওয়ে এফসি থেকে মোহনবাগানে সই করেছিলেন সত্যজিৎ ঘোষ। খেলতেন স্টপার হিসেবে। রাজস্থানের বিরুদ্ধে লিগের ম্যাচে পায়ে চোট পেয়েছিলেন। চোট-আঘাত তাঁর কেরিয়ারের একটা বড় অংশে থাবা বসিয়েছিল। এরপর একসময় চলেও গিয়েছিলেন মহামেডান স্পোর্টিংয়ে। সেখান থেকে আবার মোহনবাগানে ফেরার পর নেন অবসর। এর মধ্যে ১৯৮৫ সালে কোচিতে নেহরু কাপে জাতীয় দলের হয়েও খেলেছিলেন তিনি।
এক সময় মোহনবাগানে দাপিয়ে বেড়া এই খেলোয়াড়ের এমন অকাল প্রয়ানে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ময়দানে। তনুময় বসুই প্রথম সোশ্যাল মিডিয়াতে সত্যজিৎ রায়ের মৃত্যুর খবর জানান। প্রাক্তন গোলরক্ষক তনুময়ের কথায়, ‘বাবলুদার (সুব্রত ভট্টাচার্য) সবচেয়ে পছন্দের প্লেয়ার ছিল। বাবলুদার সঙ্গে যখন খেলত, তখন সামনেটা কভার করে দিত। পিছনে থাকত বাবলুদা, খেলত ফ্রি বলটা। ট্যাকল করত দারুণ। ঠান্ডা মাথায় খেলত। দু’পায়ে কিক ছিল।’
সত্যজিত্ রায় থাকতেন ব্যান্ডেলের দেবানন্দপুরে। একা করে তিনি রেখে গেলেন স্ত্রী আর মেয়ে-জামাইকে। তাঁর মরদেহ হগলি জেলা স্পোটস্ অ্যাসোসিয়েশনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শ্রদ্ধা জানান ফুটবলপ্রেমীরা। তার পর চুঁচুড়া শ্যামবাবুর ঘাটে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।